শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

নদী থেকে বালু উত্তোলনে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপিল বিভাগে স্থগিত
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বিষয়ে ইতিপূর্বে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত। ৪ এপ্রিল সোমবার এই আদেশ দেয়া হয়। ফলে চাঁদপুরের নদণ্ডনদী থেকে যে বালু উত্তোলন করা হতো, সেটি বন্ধ হয়ে গেলো। তবে এ বিষয়ে আগামী ২৫ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।

মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের ইতিপূর্বে দেয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান। আর রিটকারী মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান ও মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ২৫ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছে চেম্বার আদালত। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তর থেকে গাফিলতির কারণে এতো দেরীতে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। বরং বালু উত্তোলনকারীকে সহযোগিতা করতো স্থানীয় প্রশাসন।

মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) ‘জনস্বার্থে নিজ খরচে’ হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেছিল মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজ। ওই রিটের আলোকে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।

একটানা কয়েক বছর বালু উত্তোলন কার্যক্রম চলা অবস্থায় চলতি বছরের ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এই আপিলের শুনানি শেষে ৪ এপ্রিল চেম্বার আদালত হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত করে।

রিটকারী প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, আমরা আদালতের নির্দেশনার আলোকে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে এতদিন বালু উত্তোলন করে আসছিলাম। অথচ এ বিষয়টি নিয়ে অনেকে এতদিন মিথ্যাচার করেছিল যে আমরা নাকি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছি। এ নিয়ে কিছু কিছু গণমাধ্যমেও অনেক মিথ্যাচার হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। আমরা আশা করি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে জনস্বার্থে বালু উত্তোলনের অনুমতি বহাল রাখা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়