প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২২, ০০:০০
স্বাধীনতা দিবসে জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে দুই ধরনের পতাকা!!
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে এবার দু ধরনের পতাকা উড়েছে। যা বিগতদিনে কখনো দেখা যায় নি। সকালে জেলা প্রশাসক যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্কের ঝড় বয়ে গেছে। কেউ বলেছেন এটা জাতীয় পতাকাকে বিবর্তন করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই কেউ পারেন না। আবার কেউ বলছেন এটা সৌন্দর্য বর্ধনে করা যায়, কোনো সমস্যা নেই। তবে জেলা প্রশাসক এই পতাকার বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেন নি। তিনি এ বিষয়ে পতাকা উত্তোলন কমিটির কাছে জানতে পরামর্শ দেন।
|আরো খবর
২৬ মার্চ সকাল ৮টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তারপর এ পতাকা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পতাকাটি ছিলো তিনদিকে কারুকাজ করা লেস-এর বর্ডার দেয়া। কিন্তু দুপুরের পর স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেছে, সকালে জেলা প্রশাসক যে পতাকা উত্তোলন করেছেন সেটা আর পতাকা স্ট্যান্ডে নেই, সেটির জায়গায় অন্য জাতীয় পতাকা উড়ছে। যা সব সময় উড়তে দেখা যায়। আর এটি যে অনুষ্ঠানের পতাকা নয় সেটি আকারেই বুঝা যায়। এদিকে সকালে যে পতাকাটি জেলা প্রশাসক উত্তোলন করেছেন সেটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কমেন্ট করতে থাকে বিভিন্নজনে।
এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের কাছে জানতে চান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে সকালে এবং বিকেলে ভিন্ন ধরনের দুটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন হলো কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জেলা প্রশাসক বলেন, পতাকা উত্তোলন কমিটিকে জিজ্ঞেস করেন। ওরা বলতে পারবে। ওই কমিটিতে কারা আছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুচকাওয়াজ উপ-কমিটির কাছে জিজ্ঞেস করেন। এ বিষয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শন উপ-কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পতাকা বিষয়ে একটি উপ-কমিটি আছে, এটা তাদের কাজ, আমার না। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসন আমাদের কাছে পতাকা চেয়েছে, আমরা তাদের তা দিয়েছি। কোথায় সেটি টানিয়েছে আমরা তা জানি না। এ বিষয়ে সচেতন জনগণের বক্তব্য হচ্ছে, অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসনের। তাই এর দায়িত্ব জেলা প্রশাসক কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাই।