শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

জাতীয় পতাকা উত্তোলন প্রসঙ্গে

জাতীয় পতাকা উত্তোলন প্রসঙ্গে
অনলাইন ডেস্ক

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং বিজয় দিবস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আমরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। এর মধ্যে ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়টি খুবই আবশ্যিক বিষয়। কিন্তু এ আবশ্যকতা পালনে অধিকাংশ নাগরিকের মাঝে উদাসীনতা ও অবহেলা লক্ষ্য করা যায়। এজন্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ছিটেফোঁটা অভিযানও নাগরিকদের উদাসীনতাণ্ডঅবহেলাকে খুব কমাতে পারছে বলে মনে হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে চলমান বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানী সহ বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনে আমাদের দেশের ফুটবল ভক্তদের মাঝে যে উন্মাদনা দেখা যায়, তাতে এবারকার বিজয় দিবসে নিজ দেশের পতাকা উত্তোলন নিয়ে নাগরিকরা উদাসীনতার কোন্ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে, সেটা নিয়ে সরকারও উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে। সেজন্যে বোধ করি এক তথ্য বিতরণীতে কালকের বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে যথাযথ বিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)’-এর বিধি ৩ অনুযায়ী ‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যরে এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যরে নয়-বিংশতিতম অংশ হতে অঙ্কিত উল্লম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদবিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু হবে। জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে অনেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন, যা জাতীয় পতাকা অবমাননার শামিল বলেও উক্ত তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।

চলতি বছরের মার্চ মাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে চাঁদপুরের একটি সরকারি অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা যথাযথ রূপে উত্তোলন না করার বিষয়ে ২-৪ জন সচেতন নাগরিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করে এক সরকারি কর্মকর্তার রোষানলে পড়েছিলেন। তিনি পুলিশকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থাগ্রহণের অনুরোধও জানিয়েছিলেন। পুলিশ অনেক ধৈর্র্য ও বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলো বিধায় অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।

বলা দরকার, আমাদের দেশের অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা নিজেদেরকে পাবলিক সার্ভেন্ট ভাবতে দ্বিধা করেন না, তার বিপরীতে কিচু কর্মকর্তা নিজেদেরকে জমিদার বা প্রভু ভাবতে ইতস্তত করেন না। শেষোক্ত কর্মকর্তারাই নিজেদের ভুল কে ভুল বলতে বা মেনে নিতে চান না। এদের অহংবোধ দেশপ্রেমকে অবলীলায় মাড়িয়ে যান। এরাই সচেতন নাগরিক কর্তৃক জাতীয় পতাকা সংক্রান্ত অনিয়ম সহ জঘন্য অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে খেপে গিয়ে বেসামাল হয়ে যান।

আমাদের মতে, স্বাধীনতার ৫২ বছরেও আমাদের দেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার যথাযথ নিয়ম বা বিধি অধিকাংশ নাগরিক অনুসরণ করে না। এর মধ্য দিয়ে তাদের দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এজন্যে সরকার কেবল তথ্য বিতবণীতে বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানালেই হবে না, সচেতনতামূলক কর্মসূচিও গ্রহণ করতে হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের তথ্য ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে লাগানো বাঞ্ছনীয় বলে আমরা মনে করি। এরা জাতীয় সংগীত শুদ্ধভাবে কীভাবে গাইতে হয় এবং জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও উত্তোলনের নিয়ম কী সেটা প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র সহ গ্রামেগঞ্জে অন্যান্য চিত্রের সাথে দেখালে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়