প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
হাইমচর উপজেলার সাবু মাস্টার মোড়ের দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড খালের ওপরে ব্রীজ সংলগ্ন চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি) বেড়িবাঁধ রাস্তার মাঝখানে দেখা গেছে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ত। যে কোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এলাকার সাধারণ সচেতন জনগণ গাড়ি চালকদের গর্ত সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্যে লম্বা কাঠের মাথায় লাল কাপড় (বিপদ সংকেত) বেঁধে গর্তে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। যাতে দূর থেকে দেখে গাড়ি চালকরা সতর্ক হয়ে গাড়ি চালান।
পুরাণবাজার থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী লঞ্চঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বেড়িবাঁধটি উদ্বোধন করেন। একটা সময় চাঁদপুর জেলার সকল মহলের দাবি ছিলো, চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার থেকে চরভৈরবী লঞ্চঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ ও মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ।
জনমনে ভয়, ২০১৮ সালে উদ্বোধন করা বেড়িবাঁধ রাস্তার যদি দু-তিন বছর না যেতেই এই অবস্থা হয়, তবে বিগত বছরগুলোর মতো আকস্মিক বন্যা অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কাতো নিশ্চিত। তাছাড়া জনমনে সিআইপি বেড়িবাঁধের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তারা মনে করছে, নি¤œ মানের কাজ হয়েছে কি না তা এখনই সঠিক তদন্ত করা দরকার।
গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১-এ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধে ছোট-বড় গর্ত’ শিরোনামের সংবাদ প্রকাশের পর প্রায় দেড়-দুই মাস পর লোক দেখানো কিছু গর্ত ভরাট করেছে ঠিকাদার। এরপর গত ১৩ অক্টোবর ২০২১-এ চাঁদপুর কণ্ঠে সিআইপি বেড়িবাঁধে লোক দেখানো গর্ত ভরাট সংক্রান্ত সংবাদের পর থেকে এই পর্যন্ত বেড়িবাঁধের কোনো দৃশ্যমান সংস্কার করা হয় নি।
বর্তমানে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার থেকে চরভৈরবী লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধটিতে প্রায় অর্ধ শতাধিক ছোট-বড় গর্তসহ বেড়িবাঁধের অনেক জায়গা দেবে যেতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দেবে গেছে পুরাণবাজার থেকে হরিণা ফেরিঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ রাস্তা।
সচেতন মহলসহ বেড়িবাঁধ এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব লোকদেখানো গর্ত ভরাট না করে স্থায়ীভাবে সঠিক তদরকির মাধ্যমে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধের সংস্কার করা হোক।