প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরে ইলিশ বিষয়ক সেমিনারে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ
সরকারি নির্দেশনা মেনে চললে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে
চাঁদপুরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সেমিনার জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইলিশের গুরুত্ব বিবেচনায় জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ইলিশের উৎপাদন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত হোক আমরা তা চাই না। জেলে ও জনগণ সচেতন না হলে প্রশাসনের পক্ষে একা ইলিশ রক্ষা সম্ভব নয়। সেজন্যে ইলিশ সম্পদের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চাই। ইলিশ রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা মেনে চললে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
|আরো খবর
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী, বিভাগীয় উপ-পরিচালক, কুমিল্লা আব্দুস সাত্তার, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন সিকদার, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেঃ মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ান ও চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মোঃ শামসুল আলম পাটওয়ারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মেহেদী হাসান। সেমিনারের শুরুতে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ শীর্ষক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন লেখক ও ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া।
চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদের সঞ্চালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জেলে প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক দেওয়ান, মানিক দেওয়ান, শাহআলম মল্লিক, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ওমর আলী প্রধান প্রমুখ।
সেমিনারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বক্তারা ইলিশ সম্পদের গুরুত্ব এবং ব্যবস্থাপনা কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের বেশি। বিশে^ মোট আহরিত ইলিশের ৮০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশে পাওয়া যায়। যার পরিমাণ বছরে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। ইলিশ আহরণের সাথে দেশের পাঁচ লাখ মানুষ সরাসরি এবং ২০ লাখের বেশি মানুষ পরোক্ষভাবে জড়িত। ইলিশের উৎপাদন ২০২৫ সাল নাগাদ ১৬ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে সরকার ২শ’ ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ২৯ জেলার ১শ’ ৩৪টি উপকূলীয় উপজেলায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় চাঁদপুরসহ দেশের ২৯টি জেলার ১৩৪টি উপজেলায় ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সরকার ঘোষিত ২২ দিন মা ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে ৩২১৬টি মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন হবে।