সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৪

কচুয়ায় গ্রামীণ জনগণ স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত

উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পানির সঙ্কট

বিশেষ প্রতিনিধি
কচুয়ায় গ্রামীণ জনগণ স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত
কচুয়ার জরাজীর্ণ রঘুনাথপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ছবি : মো.আলমগীর তালুকদার।

কচুয়ায় গ্রামীণ জনগণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রগুলোতে নেই কোনো মেডিকেল অফিসার। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসংখ্য রোগী এসে ডাক্তার সঙ্কটের কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে কচুয়ায় ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৪টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন করে মেডিকেল অফিসার ও একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও বাস্তবে কোনোটিতেই মেডিকেল অফিসার কর্মরত নেই। তাছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মোট ১৪জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র ৫জন। ফলে জরুরি প্রয়োজনে রোগীগণ বহুদূর থেকে স্বাস্থ্য সেবার জন্যে ছুটে আসতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

জানা গেছে, কাদলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কোনো ডাক্তার বা স্টাফ বসার মতো স্থান না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। ওই এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাদের এলাকার উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় রোগীগণ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

আশ্রাফপুর এলাকার বাসিন্দা মো. জহির মিয়া জানান, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীগণ মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন। তবে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় জরুরি রোগীদেরকে কচুয়া বা শাহরাস্তি যেতে হয়।

পাথৈর এলাকার বাসিন্দা আলী আকবর জানান, পাথৈর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহু বছর ধরে কোনো ডাক্তার নেই। জরুরি সেবার জন্যে সাধারণ রোগীদের কচুয়া বা গৌরিপুর যেতে হয়। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কোনো ডাক্তার না থাকায় গ্রামীণ পর্যায়ের রোগীগণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।

অপরদিকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে ৮জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৩জন। ৪টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্যে ১২ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার মধ্যে কর্মরত রয়েছে ৭জন। এসব কেন্দ্রে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাগণ মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সোহেল রানা জানান, অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে মেডিকেল অফিসারদের বসার মতো অবস্থা নেই। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারগণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্তিতে রয়েছে। তাছাড়া রঘুনাথপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবন সঙ্কটের কারণে সেখানে ডাক্তার বসার মতো অবস্থা নেই।

স্থানীয়রা জানান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনবল সঙ্কটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ। গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়