রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৭

বাংলাদেশের আকাশসীমায় সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা: নতুন রাডার বদলে দিল চিত্র

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ

মো.জাকির হোসেন
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: কয়েক যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আধুনিক রাডার প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এই রাডার স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের দুর্বলতা দূর হয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

দীর্ঘদিনের সমস্যা ও ভারতের প্রভাব: গত চার দশক ধরে বাংলাদেশের আকাশসীমার নজরদারি ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল ছিল। ১৯৮০ সালে স্থাপিত পুরাতন রাডারটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কার্যকারিতা হারায়। ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর তথ্য সংগ্রহের জন্য ভারতীয় রাডারের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ।

এতে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহারকারী প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য যে নেভিগেশন চার্জ আদায়ের সুযোগ ছিল, তা চলে যেত ভারতের হাতে। এ প্রক্রিয়ায় বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে বাংলাদেশ, যার মোট পরিমাণ প্রায় এক লাখ কোটি টাকা বলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন।

আধুনিক রাডার স্থাপনের সুফল: সম্প্রতি স্থাপিত নতুন রাডার সিস্টেম দেশের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। এতে শুধু রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়নি, বরং দেশের সার্বভৌমত্বও সুরক্ষিত হয়েছে। এই উন্নত রাডার সিস্টেম আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কাজ করতে সক্ষম এবং শত্রু দেশের বিমান শনাক্ত ও আক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর তথ্য সরবরাহ করতে পারে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল আলম বলেন, “আমাদের আকাশসীমা ব্যবস্থাপনার দীর্ঘদিনের ঘাটতি পূরণ হলো। এখন থেকে আমরা আমাদের নিজস্ব সার্বিলেন্স ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোকে ট্র্যাক করতে পারব। ফলে আর কোনো বিদেশি দেশ এই খাতে বাংলাদেশের রাজস্ব হাতিয়ে নিতে পারবে না।”

বাংলাদেশের আকাশসীমায় নতুন সম্ভাবনা: বিশ্বের প্রতিটি দেশ নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশকারী ফ্লাইট থেকে নেভিগেশন ফি আদায় করে। নতুন রাডার স্থাপনের ফলে এই ফি বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে জমা হবে। পাশাপাশি, দেশের সামরিক ও বাণিজ্যিক উভয় ধরনের বিমান চলাচল নিরাপত্তা পাবে।

বহুমুখী উন্নতির সম্ভাবনা:নতুন রাডার স্থাপন দেশের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈশ্বিক বিমান পরিবহন খাতে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। এতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক মানে উন্নীত হবে।

এই উন্নয়ন শুধু আর্থিক সুরক্ষা নয়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে আরও রাডার স্থাপন ও আকাশসীমা ব্যবস্থাপনা উন্নত করার উদ্যোগ নেয়া হলে এই খাতে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হবে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়