প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:০৩
'আল্লাহু আকবার' বললেই চলে যায় বিদ্যুৎ--
সন্ধ্যায় মাগরিবের আজানের সময় 'আল্লাহু আকবার' বললেই চলে যায় বিদ্যুৎ। এমন ঘটনা নিত্যদিনের। এতে মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। মনে হয় যেনো লোডশেডিং ওই সময়ের জন্যে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়। জানা যায়, প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের আজানের সময় চাঁদপুর জেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ স্থানে ও চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে 'আল্লাহু আকবার' বলার সাথে সাথে বিদ্যুৎ নিয়ে যায় পল্লী বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন এমন ঘটনা চলতে থাকায় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মসজিদে আইপিএসের ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে মাইক ছাড়া আজান দিতে হয়। মসজিদ থেকে একটু দূরত্বের বাড়ির নামাজী নারী-পুরুষ মাইকবিহীন আজানের শব্দ শুনতে পান না। এতে করে মাগরিবের নামাজ দেরি করে পড়তে হয় তাদের। এ ব্যাপারে মুসল্লিরা বলেন, মসজিদের মাইকে 'আল্লাহু আকবার' বলার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। এটা কেনো? এর আগে-পরে বিদ্যুৎ নিতে পারে না? কেনো এ রকম করা হচ্ছে তা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। মতলব উত্তর উপজেলা থেকে চাঁদপুর কণ্ঠ প্রতিনিধি বাবুল মুফতি, মতলব দক্ষিণ ব্যুরো ইনচার্জ রেদওয়ান আহমেদ জাকির বলেন, মাগরিবের নামাজের আজান দেয়া মাত্র বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার আজানের আগেও বিদ্যুৎ চলে যায়। চাঁদপুর কণ্ঠের ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ইনচার্জ প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, মাগরিবের আজানের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়--এ রকম প্রায়ই হয়। শাহরাস্তি ব্যুরো ইনচার্জ মঈনুল ইসলাম কাজল বলেন, মাগরিব নামাজের আজান দিলে প্রায় সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। আগের চেয়ে এখন একটু কম যায়। কচুয়া প্রতিনিধি ফরহাদ চৌধুরী বলেন, মাগরিবের নামাজের আজানের সাথে সাথে প্রায় সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। আগের তুলনায় অনেকটা এখন কম যায়। হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও থেকে চাঁদপুর কণ্ঠ প্রতিনিধি আলমগীর কবির বলেন, মাগরিব নামাজের আজান দেয়ার সাথে সাথে, আবার কখনো নামাজের পর পর বিদ্যুৎ চলে যায়। মাগরিবের আজান ও নামাজের সময় শুধু নয়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান ও নামাজের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং না দেয়ার জন্যে মুসল্লিগণ প্রশাসন ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।