প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
লোডশেডিং
আমাদের গ্রাম সুমগোপুর ভৈরব পাড়া। গড়ে গুনতে গেলে আমাদের গ্রামে চারশত থেকে পাঁচশত মানুষ বাস করে। গ্রামের সভ্যতা, সংস্কৃতি পড়াশোনা মিলিয়ে খুব উন্নতির দিকে আমাদের গ্রাম।
প্রতি ঘরে পাঁচ থেকে ছয়টা করে স্মার্টফোন, এসি, ফ্রীজ, এনার্জি লাইট। অনেকে রাতে ডিম লাইট জ্বালিয়ে রাখে। কারণে অকারণে সারাক্ষণ বিদ্যুৎ অপচয় করে। ডিজিটাল দেশ হয়েছে বলে সকলে হইচইপূর্ণ আবেগপ্রবণ হয়ে অহরহ অপচয়ের উপর আসক্ত। এভাবেই চলে যাচ্ছিল আমাদের উন্নয়নরত সংস্থার সমাজ।
হঠাৎ-ই একদিন হইচই শুরু!দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গ্রাম-গঞ্জে, শহরে অনেক বিদ্যুৎ অপচয়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম করা হবে। এটা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা সভা ও বসেছে। তো এসব খবরাখবর দেখে আমাদের গ্রামের মাতবর সাহেবরা ও একটা মিটিং ডেকেছেন আজ বিকেল বেলায়।
সকলে সঠিক সময় মতো চলে এসেছেন আলোচনা সভাতে। প্রধান অতিথি, সভাপতি সকলে বক্তব্য শেষ করেছেন আর সর্ব শেষ সিদ্ধান্ত এসেছে যে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্যুৎ চালাতে হবে এবং সকলে এ সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।
আলোচনা সভায় সকলে সহমত হয়েছেন। কারণ একটা ঘরে কম করে হলেও চারটি রোম থাকে সেখানে চারটি লাইট, চারটি ফ্যান আবার জামা-কাপড় স্ত্রী করা, দিনের আলোতে ও অসচেতনতার কারনে এমনি বাতি জ্বালিয়ে রাখা সকল কিছু মিলিয়ে অনেক পরিমান বিদ্যুৎ অপচয় করা হয়। এমন তো প্রত্যাক ঘরে ঘরে হচ্ছে।
যার কারণে সময় মতো বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সমর্থন হচ্ছে না সকল মানুষগণ। এখন দেশের ঋতুগুলো ও পরিবর্তিত।
সময় অসময়ে তীব্র গরমে যেন মুশকিল হয়ে পড়ে সকলের জীবন। সেখানে এতো উষ্ণ আর্দ্র তাপমাত্রায় বিদ্যুৎ না থাকলে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। কারণ গরমেও অনেক রোগব্যাধি বৃদ্ধি ঘটায়।
এখানে আলোচনা সভাতে আবার গ্রামবাসির বিশেষ কয়েকজন বলেছেন যে,শুধু আমাদের এক গ্রাম সচেতন হলে তো হবেনাহ পুরু দেশ কে সচেতন হতে হবে।
সকল কিছু নিয়মমাফিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। তাহলে-ই আমাদের দেশের বিদ্যুৎ অপচয়ের সমস্যা সমাধান হবে। আর আমরা সঠিক মতো বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারবো।