শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:২৭

স্ত্রী হত্যার ১৬ মাস পর স্বামী আটক

গোলাম মোস্তফা
স্ত্রী হত্যার ১৬ মাস পর স্বামী আটক

শুক্কুর আর লিপি বেগমের প্রেম থেকে হয় পরিণয় বা বিয়ে। বিয়ের পূর্বে প্রেমিকা লিপি বেগম জানতো তার হবু বর একজন ব্যবসায়ী। কিন্তু বিয়ের পর স্বামীর চলাফেরা, আচার-আচরণ দেখে অনেকটা হতাশ হন স্ত্রী। এক পর্যায়ে জানতে পারেন, স্বামী একজন মাদক ব্যবসায়ী। শুধু তাই নয়, আরো জানতে গিয়ে জানতে পারেন, স্বামী পরনারীতে আসক্ত। সে কয়েকজন নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত।

এ ধরনের অপকর্মের কথা শুনে স্বামীকে স্বাভাবিক জীবনে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী। এক পর্যায়ে এ সকল বিষয়ে প্রতিবাদ করায় স্বামী শুক্কুর আলী সুকৌশলে খাওয়ার সাথে বিষ মিশিয়ে দিয়ে স্ত্রী লিপি বেগমকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৩ সালের ১৭ মে দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর তিনতাল গাছতলাস্থ লতিফ খান বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার পাশে শুক্কুর মিয়ার নিজ বাড়িতে।

এরপর এ ঘটনায় নিহতের ভাই মামুন খান বাদী হয়ে স্বামী শুক্কুর মিয়া, শরিফ খাঁ ও সুফিয়া বেগমসহ ৩জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুরে কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে উক্ত মামলায়

মূল অপরাধী শুক্কুর মিয়াকে রেখে বাকি নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। এ ঘটনার পর থেকে চার্জশীট দেয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে

পলাতক ছিলো আসামী। ফলে আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। কিন্তু সে পলাতক থাকায় পুলিশ আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি।

জানা যায়, লিপি বেগম ছাড়াও আসামী শুক্কুর মিয়া আরো ৪টি বিয়ে করেছে। তন্মধ্যে চাঁদপুরের একজন আইনজীবী সহকারীর মেয়েকে প্রতারণা করে বিয়ে করে। ঐ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে দীর্ঘদিন সে জেল খাটে এবং এক পর্যায়ে সমঝোতা করে সেই মামলায় আপস করে।

এদিকে শুক্কুর মিয়া একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনেও মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। অবশেষে ৫ অক্টোবর রঘুনাথপুরের তিনতাল গাছতলাস্থ নিজ বাড়িতে আসলে এলাকার লোকজন তাকে দেখে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে জানালে মডেল থানার এসআই আলীম ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্কুর মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। শুক্কুর মিয়ার পৈত্রিক বাড়ি বহরিয়া স্লুইস গেট খান বাড়ি। এই বাড়ির রহিম খানের ছেলে শুক্কুর।

জানা যায়, স্বামীর পরকীয়া ও মাদক ব্যবসার বিষয়েলিপি বেগম মৃত্যুর পূর্বে তার মোবাইলে ভিডিও বার্তায় বা লাইভে এসে সকল নির্যাতন ও স্বামীর মাদক ব্যবসায় অপকর্মের ঘটনা তুলে ধরেন। এছাড়াও লিপি বেগমের মৃত্যুর পর এই ঘটনায় মামলা না করতে বাদী পক্ষকে নানা হুমকি-ধমকি দেয়।

এই ঘটনায় শুক্কুর মিয়া ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়