রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

দালালে দালাল ধরিয়ে দিলো কি না?
অনলাইন ডেস্ক

আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৫ দালালকে আটক করেছে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। গত ১৩ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০টার সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিচতলাসহ ডাক্তার চেম্বারের আশপাশে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো : আলম (২৮), দ্বীপ দে (২৩), মাহিম গাজী (১৯), রায়হান (১৯) ও রিয়াদ হোসেন (২৫)। এরা সবাই চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মুহসীন আলম জানান, অভিযুক্তরা বিভিন্ন ক্লিনিকের রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের পরীক্ষা করতে বাধ্য করাসহ হাসপাতালের শৃঙ্খলা পরিপন্থী বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত করায় আমরা অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছি। এসআই জাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ থেকে দালালি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

চাঁদপুর কণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে দালাল আটকের খবরে যে পাঁচজনের ছবি দেয়া হয়েছে, তাদের চেহারা দেখে অনেক পর্যবেক্ষকই এরা অভিজ্ঞ ও কুখ্যাত দালাল নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাদের মতে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবগতির প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ এমন পাঁচ দালালকে ধরেছে, যারা কম বয়সী, দালালিতে নবীন ও শিক্ষানবিস। কোথাও পুরাণ পাগল ভাত না পাওয়া অবস্থায় নূতন পাগলের আনাগোনা শুরু হলে যেমন পুরাণ পাগলরা খেপে যায় এবং নূতনদের তাড়ানোর নানা ফন্দিফিকির আঁটে, তেমনি চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পুরাণ দালালরা নূতন দালালদের তাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে উপরোল্লিখিত পাঁচ দালালকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কৌশলে ধরিয়ে দিলো কিনা সে প্রশ্নের অবকাশ তৈরি হয়েছে। কেননা হাসপাতালের সামনে যে ক’টি ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক রয়েছে, সেগুলোর নিয়োজিত দালালসহ আরো কিছু দালাল খুবই চেনা মুখ। এরা প্রভাবশালী ও হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষাকারী। এরা হাসপাতাল থেকে কেবল রোগী নয়, প্রলুব্ধ করে কোনো কোনো ডাক্তারকে তাদের ডিউটি চলাকালে ভাগিয়ে নেয়ার ক্ষমতা ও কৌশল প্রদর্শন করে। পুলিশের হাতে কালেভদ্রে ধরা পড়ে এদের কেউ কেউ, বাকিরা ধরা পড়ে না বললেই চলে। এদেরকে প্রতিহত করতে হলে সাদা পোশাকের পুলিশ বা পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতা প্রয়োজন। উপর্যুপরি দালাল প্রতিহতকরণের কাজটি টেকসই করতে হলে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল শুধু নয়, জেলা ও উপজেলা সদরের সকল সরকারি হাসপাতালে স্থায়ীভাবে আনসার নিয়োগের বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ভাবতে হবে বলে সুধী ও অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তার আগ পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোর চলাকালে থানা পুলিশের টহল কার্যক্রম রুটিনমাফিক হওয়াটা অতীব প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়