প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
আরেকটি ইলিশ উৎসবের সফল সমাপ্তি
২০০৯ সালে চাঁদপুরের প্রসিদ্ধ সাংস্কৃতিক সংগঠন চতুরঙ্গ যখন ইলিশ উৎসব শুরু করে, তখন গ্রামীণ ফোনের মতো দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন কোম্পানি এই উৎসবের স্পন্সর তথা পৃষ্ঠপোষক হয়। লাগাতার চার বছর তারা এই পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখে। তারপর ঢাকার আল হেলাল স্পেশালাইজ্ড হস্পিটাল (প্রাঃ), চাঁদপুরের চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার বহুমুখী সমবায় সমিতি, জিপিএইচ ইস্পাত, প্রাণ ফ্রুটিক্স, চাঁদপুরের সেবা হোল্ডিংস লিঃ এই ইলিশ উৎসবের পর্যায়ক্রমে স্পন্সর হয়। এর ফলে এই উৎসবের যুগপূর্তি সহজতর হয়। ১৩ তম বছরে অর্থাৎ ২০২১ সালে এসে এই উৎসবের স্পন্সর প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত একটি নয় দুটি স্পন্সরই পাওয়া যায়। টাইটেল স্পন্সর হয় চলচ্চিত্রের অ্যাপস্ধর্মী প্রতিষ্ঠান সিনেবাজ এবং কো-স্পন্সর হয় দেশের খ্যাতনামা টিকে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির পুষ্টি সয়াবিন তেল। খুবই ভালোভাবে সম্পন্ন হয় সিনেবাজ-পুষ্টি ১৩তম ইলিশ উৎসব ২০২১। ২টি স্পন্সর পেয়ে তিনদিনের পরিবর্তে পাঁচদিনব্যাপী করা হয় এই উৎসব।
|আরো খবর
২০২০ সালে ছিলো চতুরঙ্গের ইলিশ উৎসবের যুগপূর্তি। পূর্ববর্তী ৪ বছরের স্পন্সর প্রাণ ফ্রুটিক্স করোনা মহামারী হেতু ব্যবসায়িক ক্ষতির অজুহাতে যুগপূর্তির উৎসবে সরে দাঁড়ায় স্পন্সর হওয়া থেকে। এ সময় চাঁদপুরের সেবা হোল্ডিংস লিঃ স্পন্সর হয়। যার ফলে চতুরঙ্গ তাদের ইলিশ উৎসবের যুগপূর্তি করতে সক্ষম হয়, যদিও তারা স্পন্সর না পেলেও সেই সক্ষমতা প্রদর্শন করার জন্যে ছিলো বদ্ধপরিকর।
শুধু চাঁদপুর কেনো, বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে ইলিশ উৎসবের আয়োজন করে সেটির যুগপূর্তি সম্পন্ন করার রেকর্ড চতুরঙ্গ ছাড়া আর কারো নেই। এ রেকর্ড অর্জনের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় কয়েক মাসের ব্যবধানে চতুরঙ্গের ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া কিরণ এবং পরিচালক (সংগীত) ও ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশীদের স্ত্রী, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তাহমিনা হারুনের অকাল মৃত্যুতে। উপর্যুপরি হারুন আল রশীদ নিজেও হৃদরোগসহ কিছু শারীরিক জটিলতায় সমস্যার সম্মুখীন হন। এমতাবস্থায় ১৩তম ইলিশ উৎসবের আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতি চললেও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
চতুরঙ্গের সক্রিয় দুজন কর্মকর্তার মৃত্যুশোক ও মহাসচিব হারুন আল রশীদের অসুস্থতার ধকল কাটিয়ে উৎসব কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতায় ১৩তম ইলিশ উৎসবের আয়োজন ২ থেকে ৬ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত সাফল্যের সাথে সমাপ্ত হয়েছে। সশরীরে এসে এ উৎসবটির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। এজন্যে আয়োজকরা কৃতার্থবোধ করছেন। আমাদের বিশ^াস, চতুরঙ্গের ইলিশ উৎসবের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এবং ইলিশ রক্ষার আন্দোলনে এ উৎসব তার সর্বাত্মক কার্যকারিতা প্রমাণে সক্ষম হবে।