রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৫৬

জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

যে কোনো সময় খালে তলিয়ে যেতে পারে বিদ্যালয়

মেহেদী হাসান,
যে কোনো সময় খালে তলিয়ে যেতে পারে বিদ্যালয়

কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামের বোয়ালজুড়ি খালের পাড়েই ১২৪নং কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়ের সাথে বোয়ালজুড়ি খাল দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজীগঞ্জ, মতলব, দাউদকান্দি ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল করে। ফলে পানির স্রােত এসে বিদ্যালয়ের সীমানায় প্রভাবিত হয়। প্রতিবছর বর্ষার পানি ও নৌযান চলাচলের কারণে বিদ্যালয়ের খালের অংশে কোন প্রকার গাইডওয়াল না থাকায় পানির স্রােতের সাথে ভবনের নিচের মাটিগুলো ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে ভবনটি খালে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

১৯৮৮ সালে খালের পূর্ব পাশে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টিতে ৪জন শিক্ষক এবং ১শত১৫ শিক্ষার্থী রয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, স্কুলের সামনের সিড়ি গুলোতে ফাটল দেখা দেয়া দিয়েছে। বিদ্যালয়ের একমাত্র চলাচলের পথের কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ায় সড়কটি সরু হয়ে পরে। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই সরু পথ দিয়েই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় এলাকাবাসী আঃ রহিম, আঃ মমিন, বাদশা, জামাল হোসেন, রহিমা খাতুন ও শেফালী বেগম জানান, বিদ্যালয়টির পাশে বোয়ালজুড়ি খাল ও এই খালের গভীরতাও অনেক বেশি। কিন্তু বিদ্যালয়ের ভবনটি রক্ষায় নেই কোন গাইডওয়াল। খাল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসী।

এদিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির আহমেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে এই খাল দিয়ে খড়স্রােত প্রবাহিত হওয়ার কারণে খাল পাড়ের মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। অচিরেই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে

যেকোন সময় খালে ধ্বসে পড়তে পারে বিদ্যালয়টি। এই ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ এইচ এম শাহরিয়ার রসুল বলেন, বিদ্যালয়ের

পাশে বোয়ালজুড়ি খাল দিয়ে বিভিন্ন নৌযান চলাচল করে। এসএমসি ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা শিক্ষা কমিটি ও প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ধ্বসে পড়া রোধের জন্য আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে। ছবি: কচুয়ায় বোয়ালজুড়ি খালের পাড়ে ১২৪নং কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়