কচুয়ার সেই শামীম গ্রেফতার

কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, কচুয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও আশ্রাফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী এনামুল হক শামীমকে গ্ৰেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

শনিবার (২৪ মে ২০২৫) ঢাকায় তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম।

ওসি জানান, ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি কর্তৃক ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইফতার অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের ৪০-৫০ জন যুবক বদরপুর এলাকায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী নাজমুন নাহার বেবীর গাড়ি ও অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং আসামিরা অস্ত্র, পিস্তল, রিভলবার ও শর্টগান দিয়ে আক্রমণ করে ২৭ জনকে জখম করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গোবিন্দপুর গ্রামের জিনাত আলীর ছেলে মতিউর রহমান বাদী হয়ে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সাবেক এমপি ড. সেলিম মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম এবং সাবেক মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, গ্ৰেফতারকৃত কাজী এনামুল হক শামীমসহ মোট ৮৯ জনকে এজাহার নামীয় আসামি হিসেবে উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫'শ জনকে বিবাদী করা হয়।

গ্রেফতারকৃত এনামুল হক শামীমের বিরুদ্ধে ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে কিছুদিন আগে এলাকাবাসী জগতপুরে মানববন্ধন করে।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম জানান, কচুয়া থানার আবেদনের প্রেক্ষিতে কাজী এনামুল হক শামীমকে ঢাকা ডিবি পুলিশ আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।