শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

সাক্ষাৎকার : ডাঃ বিউটি রানী সরকার

দালাল দ্বারা রোগীদের হয়রানি হওয়া দুঃখজনক

অনলাইন ডেস্ক
দালাল দ্বারা রোগীদের হয়রানি হওয়া দুঃখজনক

ডাঃ বিউটি রানী সরকারের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা গাজীপুরে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত।

সম্প্রতি তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ‘চিকিৎসাঙ্গন’ বিভাগের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি তার শৈশব-কৈশোর, চিকিৎসক হওয়ার ভাবনা ও চাঁদপুরের চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাৎকার নেন আলআমিন হোসাইন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে কোথায়?

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা গাজীপুর জেলায়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাই।

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : ২০০২ সালে ঢাকা বোর্ডের অধীনে এসএসসি, ২০০৪ সালে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পাস করি। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসক হওয়ার ভাবনাটি সূচনা হলো কীভাবে?

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : আমার বাবা চাইতেন আমি চিকিৎসক হই। বাবার ইচ্ছেতে নিজের লক্ষ্য স্থির করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসক হিসেবে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলুন।

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : চিকিৎসক হিসেবে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ছিলো দারুণ আনন্দের। কষ্টের পথ পাড়ি দিয়ে চিকিৎসক হিসেবে শপথ গ্রহণ করার স্মৃতি আমার জীবনের সেরা স্মৃতিগুলোর মধ্যে অন্যতম।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুরে যোগদান করেছেন কবে?

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৪ সালে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুরের চিকিৎসাব্যবস্থার সার্বিক দিক নিয়ে কিছু বলুন।

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : চাঁদপুরের চিকিৎসাব্যবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেক ভালো। অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বর্তমানে এ জেলায় চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। এতে রোগীরা উপকৃত হচ্ছেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার কাছে কোন্ ধরনের রোগী বেশি আসে?

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : আমার কাছে গাইনোকোলজিক্যাল ও প্রসূতি রোগী আসেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রোগীদের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : রোগীর রোগমুক্তিই চিকিৎসক হিসেবে আমার প্রত্যাশা। আমার বেশিরভাগ রোগীই আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসেন এবং সম্মান করেন। তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। অন্য কোনো প্রত্যাশা নেই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসাজীবনের একটি সুখের এবং একটি দুঃখের স্মৃতির কথা বলুন।

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : আমি একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ। কোনো নিঃসন্তান দম্পতি যখন সৃষ্টিকর্তার রহমতে আমার চিকিৎসায় সন্তানধারণ করেন তখন তা আমার জন্যে অনেক সুখের স্মৃতি। আমার মেয়েটার জ্বরের সময় মাঝে মাঝে খিচুনি হয়। প্রথমবার যখন এমনটি হয় চিকিৎসক মা হিসেবে তা আমার জন্যে ভীষণ কষ্টের ছিলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন?

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : চিকিৎসা সেবা দিতে প্রায়ই ছোট ছোট নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হই। বিশেষ করে অনেক রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে এসে দালাল কর্তৃক বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। যা খুবই দুঃখজনক। কিছু ক্ষেত্রে নিজের কিছুই করার থাকে না। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলে প্রথম যে তিনটি কাজ করতেন?

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতে চাই না। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমৃত্যু মানুষের সেবা করতে চাই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রোগমুক্ত জীবনযাপন করতে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : প্রচুর পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসরে কী করেন?

ডাঃ বিউটি রানী সরকার : বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাই।

উল্লেখ্য, ডাঃ বিউটি রানী সরকারের স্বামী ডাঃ রাজন কুমার দাস কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়