রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

মধ্যপ্রাচ্যে বৈধ উপায়ে গিয়ে অবৈধ হয়ে ফিরছে বাংলাদেশিরা
কুয়েত প্রতিনিধি ॥

বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ও সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছে দক্ষ অদক্ষ শিক্ষিত যুবকরা। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। ৩ লাখ থেকে ৯ লাখ টাকা দিয়ে ভিসা কিনে সৌদি, কুয়েত, কাতার, আরব আমিরাত, ওমানে আসছে বাংলাদেশিরা।

গত ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলে কাতারে। বিভিন্ন দেশের অসংখ্য শ্রমিক সেই কাজে ভূমিকা রাখে। ডিসেম্বর মাসে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরনের নির্মাণ কাজ, যা এখনো পুরো চালু হয়নি। যার কারণে বেকার হয়ে পড়ে দেশটিতে থাকা শ্রমিকরা। গত ৮ মাস ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রবাসী বাংলাদেশি সহ অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা। অনেকের বৈধ আকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে অবৈধ হয়ে ঘুরছে। কাজ না থাকায় প্রতি মাসে নিজের থাকাণ্ডখাওয়ার খরচ জোগাড় করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে তাদের। কাজ চালু না হওয়ায় অনেক কোম্পানি শ্রমিক ছাঁটাই করে দিচ্ছে।

কুয়েতে শোন ১৮ নং আখদ ক্লিনিং ভিসা ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকায় কিনে আসে মাসে ৭৫ দিনার বেতনের চাকুরিতে থাকা মালিক বহন করলেও খাওয়া খরচ সব যাবতীয় খরচ নিজেকে বহন করতে হয়। দেখা গেছে, অনেক কোম্পানিতে আসার ২ থেকে ৩ বছর পর কাজের চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। পুনরায় একই কোম্পানিতে অথবা অন্য কোম্পানিতে আকামা নবায়নের খরচ জোগাড় করতে না পেরে অবৈধ হয়ে পড়ছে বাংলাদেশিরা। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানে গ্রেফতার হয়ে জেল জরিমানা দিয়ে আর ফিরতে পারবে না এই শর্তে ফেরত যাচ্ছে বাংলাদেশে।

আরব আমিরাত, সৌদি আরবে কাজের তুলনায় শ্রমিক বেশি, তবুও দালালদের লোভনীয় সুযোগ সুবিধার কথার ফাঁদে পড়ে ভিজিট ভিসা ও কাজ নেই এমন ভুয়া কোম্পানির ভিসায় যাওয়ার পরে পড়ছে বিপাকে। দালালের কথামতো সঠিক কাজ না পেয়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে সব দেশে একই কানুন, এক কোম্পানিতে এসে অন্যত্র কাজ করা অবৈধ এবং আইনের লংঘন হলে জেল জরিমানা সহ নিজ দেশে ফেরত অনিবার্য ।

কমিউনিটির বিশিষ্ট জনেরা মনে করেন, দালালের কথায় মুগ্ধ না হয়ে ভিসা কেনার আগেই যেই দেশে যাক না কেন, আগে ঐ দেশের ভিসার ধরণ এবং ঐ দেশে কাজের পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিচিতজনদের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়া জরুরি। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে খোঁজখবর নেওয়া আরও সহজ। পরিবেশ পরিস্থিতির খোঁজখবর না নিয়ে চলে আসার কারণে বেশি বিপদে পড়ছেন বেশিরভাগ বাংলাদেশি। তবে যাদের আত্মীয় স্বজন আছে তারা হয়তো কেউ কেউ চাকুরি পাচ্ছে, তবে শ্রমের মজুরি অন্য সময়ের তুলনায় কম।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়