বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কড়াইল বৌ-বাজার বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট
  •   বাকৃবিতে শিক্ষকদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ
  •   সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেনসহ আটক ২
  •   মতলবে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাদ দিয়ে তৃণমূলের অংশগ্রহণে কমিটি গঠনের দাবিতে বিএনপির গণমিছিল।
  •   এসোসিয়েশন অব মডেল ইনস্টিটিউশন্স চাঁদপুর-এর বৃত্তি পরীক্ষা

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:৩৫

মতলব উত্তরে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর প্রধানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাছ লুটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মতলব উত্তর ব্যুরো
মতলব উত্তরে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর প্রধানের বিরুদ্ধে  চাঁদাবাজি ও মাছ লুটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
ছেংগারচর পৌর ভবন প্রাঙ্গণে জাহাঙ্গীর প্রধানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মৎস্যচাষী শ্রী লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস।

মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক চাঁদা আদায় ও জলাশয়ের মাছ লুটের অভিযোগ করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের এক জেলে। এ নিয়ে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর ২০২৪) ছেংগারচর পৌর ভবন প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করেন মৎস্যচাষী শ্রী লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (৪৫) ও তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস বলেন, আমি ছেংগারচর পৌরসভার কেশাইরকান্দি এলাকায় নূর আলমের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করে জেলে পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। গত প্রায় ৯ মাস আগে রুহিতারপাড় জলাশয়ে ৪৮ লাখ টাকা খরচ করে ৫৫০ মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করি। ৫ আগস্টের পর থেকে ছেংগারচর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর প্রধান আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে সব মাছ ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিতে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে আমি ৩ লাখ টাকা চাঁদা দিতে রাজি হই এবং লোন করে ২০ আগস্ট জাহাঙ্গীর প্রধানকে নগদ ২ লাখ টাকা চাঁদা দেই। পরে জাহাঙ্গীর আলম আরো ১ লাখ টাকা দাবি করে, টাকা না দিলে জলাশয়ের সমস্ত মাছ ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। অবশেষে ৫ ডিসেম্বরের আগে বিভিন্ন সময়ে আমার জলাশয়ের ৫০ লক্ষাধিক টাকার সমস্ত মাছ জাহাঙ্গীর প্রধান ও তার লোকজন মিলে লুটপাট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, আমি এ বিষয়ে কথা বলাতে আমাকে এবং আমার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এখন আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এ ঘটনায় আমি মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীর প্রধানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়