প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩৭
৩৮ বছরের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ!
চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের খলিশাডুলীতে বসতবাড়ির প্রবেশপথ বন্ধ করে অবৈধভাবে দেয়াল উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবাই যখন ব্যস্ত ছিলো, সেই ফাঁকে খলিশাডুলী এলাকায় এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে একটি কুচক্রী মহল।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মো. আওলাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
ঘটনা সূত্রে সরজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডে ওয়াপদা গেট এলাকায় খলিশাডুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রোডে অবস্থিত ৪৭নং খলিশাডুলী মৌজার সিএস-১৬৬নং, এসএ-১১২নং, বিএস-৩৯১নং খারিজী-১১৭৯নং খতিয়ানে সাবেক ২৮০ ও ২৮১ দাগ হাল ৫৪৫ দাগে .০৬০০ একর (ছয় শতাংশ) ভূমির খরিদ সূত্রে মালিক দখলকার মো. গোলাম হোসেন টিটো ও ফৌজিয়া আক্তার, যার খরিদা দলিল নং-৮৪৪/১০, তারিখ ০২/০২/২০১০, যার চৌহুদ্দী--উত্তরে রাস্তা, দক্ষিণে আ. আউয়াল পাটওয়ারীর পেট্রোল পাম্প, পূর্বে গোলাম হোসেন টিটো গং এবং পশ্চিমে আনোয়ার হোসেন।
ভূমির মালিকগণ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে, পৌরসভার হোল্ডিং-০৯৭৬-০২ সৃজন করে পৌর ট্যাক্স পরিশোধ করে সেমি-পাকা দালান নির্মাণের নকশা অনুমোদন করার জন্যে যাবতীয় কর পরিশোধ করেন (যার স্মারক নং-৪২৬)। তথায় তারা সেমি-পাকা দালান নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছেন। তাছাড়া উক্ত জমির মূল মালিক মরহুম মো. মুসলিম খান চলাচলের পথ হিসেবে ব্যবহৃত উত্তর পাশের রাস্তা, যার সাবেক দাগ নং ২৮০ ও ২৮১ হাল দাগ নং ৫৪২-এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী মো. শাহজাহান বেপারীর (পিতা মৃত নুর মোহাম্মদ বেপারী) এবং আবদুছ ছাত্তার মাঝির নিকট হতে ২৪/০৯/১৯৮৬ তারিখে চাঁদপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৮৬০৩ নং দলিল মূলে .০১৫০ একর (দেড় শতাংশ) ভূমি (রাস্তা হিসেবে প্রস্থে) ৪.৫০ ফুট এবং দৈর্ঘ্যে ১৫৭ ফুট) খরিদ করেন।
ভুক্তভোগী ফৌজিয়া আক্তার জানান, ১৬ ডিসেম্বর সোমবার মো. শাহজাহান বেপারী, পিতা মৃত নুর মোহাম্মদ বেপারী ও মানিক মাঝি, পিতা আবদুস ছাত্তার মাঝির নেতৃত্বে বেআইনি জনতা ও লাঠিয়াল শ্রেণির লোকজনের সহয়তায় বর্ণিত আমাদের বাড়ির প্রবেশপথের সামনে ইট দিয়ে গাঁথুনি করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন। অথচ এ পথে আমরা দীর্ঘদিন চলাচল করছি। ৩৮ বছরের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ--এটা কেমন কথা! এ বিষয়ে আমরা চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত মানিক মাঝির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা আমাদের প্রতিবেশী। সাবেক কাউন্সিলর মো. আলমগীর গাজীর মাধ্যমে একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। তিনি ওই বৈঠকে বসেননি। আমরা আমাদের জায়গায় দেয়াল করতেছি। তারা অভিযোগ দিয়েছেন। থানায় পুলিশ বসতে বলেছে। আমরা কাগজপত্র নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর বসবো।
তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মো. আওলাদ হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই এবং তাৎক্ষণিকভাবে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন রাস্তার প্রতিবন্ধকতা ওয়ালের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে উভয় পক্ষকে মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার জন্যে বলেছি।