শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১২ মে ২০২৪, ০০:০০

ইলিশের মণ লাখ টাকা, একটি চিংড়ি ৬০০ টাকা

অনলাইন ডেস্ক
ইলিশের মণ লাখ টাকা, একটি চিংড়ি ৬০০ টাকা

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে মেঘনা নদীর অন্যতম স্থান হরিণা ফেরিঘাট। সেখানে রয়েছে একটি মৎস্য আড়ত। মেঘনা নদীতে জেলেদের আহরিত ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে আসা হয় এই আড়তে। তবে এখন সেই আড়তে ইলিশসহ অন্যসব মাছের দাম খুবই চড়া। বর্তমানে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকা দরে। নদীতে ইলিশ কম এবং আমদানি না থাকায় বাজার দরের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

১০ মে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ঘাটে কিছু সময় অবস্থান করে আড়তে আনা ইলিশের দরদাম জানা গেল। তবে এই ঘাটে সাধারণ ক্রেতার চাইতে খুচরা ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি। তারা ঘাটের আড়ৎ থেকে তাজা ইলিশ ক্রয় করে শহরে এনে বিক্রি করেন।

এই মাছঘাটে দুটি সময় জেলেরা ইলিশ নিয়ে আড়তে আসেন। রাতে যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন ভোরে এবং সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এছাড়াও দিন জুড়েই আড়তগুলোতে কম-বেশি ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়।

তাজুল সৈয়ালের আড়তে একজন জেলে নিয়ে আসলেন বড় সাইজের ৩টি এবং ছোট সাইজের ৩টি ইলিশ। চাঁদপুর শহর থেকে আসা একজন খুচরা ব্যবসায়ী ছোট ৩টি ইলিশ (জাটকা সাইজ) ক্রয় করলেন ৮০০ টাকা। আর মধ্যম সাইজের ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ৩টি ক্রয় করলেন ৩ হাজার টাকায়।

পাশের আড়তে সকাল থেকে জমিয়ে রাখা ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২হাজার ৫০০ টাকা। একজন ক্রেতা ৪টি ইলিশ ক্রয় করলেন ৯ হাজার ৪০০ টাকায়।

বিল্লাল হোসেন নামের মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আজকে ছোট সাইজের ইলিশ প্রতি হালি বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা দরে। বড় সাইজের গুলো কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বড় সাইজের পোয়া মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০টাকা। নদীতে মাছ থাকলে প্রতিদিন এই আড়তে ১০ থেকে ১৫ মণ ইলিশ বিক্রি হয়।

হরিণা ঘাট আড়তের মৎস্য ব্যবসায়ী লতিফ শেখ বলেন, বর্তমানে মাছের খরা যাচ্ছে। জেলেরা নদীতে খুব কম মাছ পাচ্ছে, যার কারণে দাম বেশি। একজন জেলের কাছ থেকে ৪০০ গ্রামের একটি চিংড়ি ৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। এবার এই চিংড়ি কত বিক্রি করতে পারবো। আগে ইলিশ প্রচুর আসতো কিন্তু এখন আসে না। মানুষ দাম বেশি দেখে ফিরে যায়।

এই আড়তের প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ছৈয়াল বলেন, নদীতে মাছ খুবই কম। আমদানি কম হলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যায় না। যে কারণে দাম এখন খুবই চড়া। বছরের সবচাইতে বেশি দামে এখন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে এই আড়তের ইলিশ তাজা। বরফ ছাড়াও ক্রেতাদের নেয়ার সুযোগ আছে।

তিনি আরও বলেন, নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুম আসন্ন। পানি আরো বৃদ্ধি ও বৃষ্টি হলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আমদানি বাড়বে। সূত্র : দৈনিক যায়যায়দিন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়