শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর লোকদের ভয়-ভীতির অভিযোগ

কামরুজ্জামান টুটুল ॥
হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর লোকদের ভয়-ভীতির অভিযোগ

আসছে ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী মতবিনিময় সভায় অভিযোগ করে বলেন, গত কদিন ধরে আমার কর্মীদের মুঠোফোনে ও লোক দিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। হুমকিদাতা কে এমন বিষয় জানতে চাইলে আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী বলেন, আমি এ মুহূর্তে হুমকিদাতাদের নাম বলবো না, আরো দুই একদিন বিষয়টি দেখে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবো।

২ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারস্থ প্রার্থীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি আরো জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনমুখী মানুষ ছিলাম না। আমি অতীতে দল ও দলের অনেক প্রার্থীর নির্বাচন করেছি। কিন্তু নিজে কখনো নির্বাচন করার চিন্তা করিনি। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি আমি ছাড়া আরও দুজন প্রার্থী রয়েছে। আর কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এগিয়ে আসে নাই। সেজন্য আমি প্রার্থী হয়েছি। জনগণ যদি মনে করে অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় আমার যোগ্যতা আছে, তাহলে আমাকে নির্বাচিত করলে এ উপজেলাকে একটি সুন্দর সকল মানুষের জন্যে একটি গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান করার চেষ্টা আমি অব্যাহত রাখবো। যাতে করে সকলে সন্তুষ্ট থাকে। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং মানুষ যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের মনের মতো প্রার্থীকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারে, এমন নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরও অনেকে এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আমাকে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, আপনাকে নির্বাচনটা করতে হবে। তাই আমি অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচন করবো।

তিনি বলেন, আমি মাননীয় সংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সাথে যোগাযোগ করেছি, তাঁর কাছে দোয়া চেয়েছি। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো প্রার্থী নেই। তোমরা যারা নির্বাচন করবে, এর মধ্যে জনগণ যাকে ভোট দিবে, সে আমার সাথে কাজ করবে। এ ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি সেই আশ্বাস পেয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি এখন সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

তিনি বলেন, আমি কোনো রকমের অন্যায়, অবৈধ কোনো সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিজয়ী হতে চাই না। জনগণ যদি ভোট দেয় আমি নির্বাচিত হবো। আমার থেকে যদি অন্য কাউকে ভালো মনে করে, তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আমি তাদেরকে স্বাগত জানাবো। আর আমি যদি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারি, সম্পূর্ণ সততার মধ্যে অনিয়মের ঊর্ধ্বে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্যে কাজ করবো।

তিনি বলেন আরো, আজকে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে, আমি আনারস প্রতীক পেয়েছি। আমার নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা আমাকে উৎসাহ এবং সাহস দিয়ে এ নির্বাচন করার জন্যে মাঠে এনেছে, গত দুদিন যাবৎ তাদেরকে বিভিন্ন রকমের হুমকি- ধমকি ও বিভিন্ন রকমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমি আপনাদের কাছে অঙ্গীকার করি, আমি জনগণের প্রার্থী হয়ে এসেছি। কেউ আমার সাথে থাকবে, থাকবে না। এটাই স্বাভাবিক। এই চিন্তা আমি মাথা থেকে ছেড়ে দিয়েছি। সকলের সহযোগিতায় জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, আমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনাদের সাথে থাকবো। কোনো হুমকি-ধমকি আমাকে সরাতে পারবে না। এ সময় কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়