প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০
বিদেশে থেকে দেশের মামলার আসামী হলেন মফিজ!
প্রায় ৬ মাস ধরে কুয়েত প্রবাসী হয়েছেন চাচা। নিজ বাড়িতে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে গত মাসে মামলা করেন ভাতিজা। একই মামলায় একদাগে সম্পত্তির মালিক চাচা কিন্তু অন্য দাগ উল্লেখ করে সেই একই মামলার আসামী করা হয় প্রবাসী চাচাকে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের বোরখাল গ্রামের। গত ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভাতিজা। যার নং দরখাস্ত মোকদ্দমা-৪৮১/২০২৪ খ্রিঃ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বোরখাল গ্রামের মোল্লা বাড়ির মৃত তরিক মোল্লার ছেলে রিয়াদ হোসেন মোল্লা তার চাচা মৃত সিদ্দিক মোল্লার ছেলে কুয়েত প্রবাসী মফিজ মোল্লাকে আসামী করে আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের ১৬০নং-এর বিএস ৪৩৫ দাগে ৬ শতাংশ জমির পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক রিয়াদ হোসেন মোল্লা। উক্ত দাগে উক্ত ভূমির ওপর গত ২০ এপ্রিল রাস্তা নির্মাণ কাজে মফিজ মোল্লা বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।
অপর একটি সূত্র জানায়, মূলত যে দাগ খতিয়ান উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়েছে সেই দাগ খতিয়ানে প্রবাসী চাচা মফিজ মোল্লার কোনো মালিকানা নেই। পাশের সিএস ১৫৯নং দাগে বিএস ৪৮৬ ও সিএস ১৭৭ দাগে বিএস ৪৮৫ মিলিয়ে দুই দাগে মোট ১৭ শতাংশ জমির ক্রয় সূত্রে মালিক প্রবাসী মফিজ মোল্লা।
মামলার সূত্রে আরো জানা যায়, মফিজুল ইসলাম মোল্লার যে দাগে মালিকানা নেই সেই দাগ উল্লেখ করে রিয়াদ হোসেন মোল্লার দায়ের করা মামলায় স্থিতি চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কুয়েতে থাকা মফিজুল ইসলাম মোল্লা জানান, রিয়াদ মোল্লা যে দাগ উল্লেখ করে আমাকে আসামী করেছে, সেই দাগে তো আমার কিছুই নেই। যেখানে আমার মালিকানা নেই সেখানে আমি মারামারি করবো কেনো। তাছাড়া আমি গত ৬ মাস আগে দেশ থেকে কুয়েতে এসেছি। তাহলে আমি গত মাসের মারামারির মামলার আসামী হই কেমনে?
‘মফিজ মোল্লা আপনার ৬ শতাংশের মালিকানাতে মালিক নেই, কিন্তু আপনার মামলার আসামী হলেন কেন’ জানতে চাইলে মামলার বাদী রিয়াদ হোসেন মোল্লা জানান, সরকারি রাস্তা গেছে মফিজের জায়গার ওপর দিয়ে। সে আমাদের জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা দিছে কেন। ‘মফিজ মোল্লা অনেক দিন বাইরে আছে সেটা সবার মতো আপনি জানেন। কিন্তু বিদেশে থেকে গত মাসে আপনার দায়ের করা মামলার আসামী হয় কেমনে’ এমন প্রশ্নে রিয়াদ হোসেন মোল্লা জানান, আপনি বাড়িতে আসেন কাগজ দেখেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাসার জানান, রাস্তাটিতে সরকারিভাবে পাকাকরণের কাজ চলছে। সরকারি রাস্তায় ব্যক্তিগত ঝামেলা ঢুুকবে কেন সেটাই তো বুঝি না।