শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ০০:০০

আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে হতাশ চাঁদপুরের জেলেরা

মিজানুর রহমান ॥
আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে হতাশ চাঁদপুরের জেলেরা

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মেঘনায় মাছ ধরার প্রথম দিনে আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে হতাশ চাঁদপুরের জেলেরা। তবে যৎসামান্য ইলিশের চেয়ে এই নদীর পোয়া, শিলং, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ায় চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ-ঘাট এবং মেঘনাপাড়ের ছোট বড় আড়তগুলোতে সারাদিনই ওইসব মাছের চাকচিক্য দেখা গেছে।

আবারও আনন্দমুখর পরিবেশে নদীতে জাল ফেলছেন জেলেরা। মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি। ইলিশের আশায় ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেল থেকেই নৌকা নিয়ে নদীতে নেমে পড়েন তারা। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মার্চ ও এপ্রিল মাসে জুড়ে দেশের ছয়টি অভয়াশ্রমে সবধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও কর্মময় পরিবেশ ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত জেলে, আড়তদার, পাইকার ও মৎস্য চালানীরা। তবে প্রথমদিনে আশা অনুযায়ী মাছ না পাওয়ায় জেলেদের চোখেমুখে উৎকণ্ঠার ছাপ দেখা যায়।

সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর সাখুয়া খালের গুল্টিজালের জেলে বারেক খাঁ বলেন, গত দুইমাস মাছ আহরণ থেকে বিরত ছিলাম। আজকে নদীতে নেমেছি। ইলিশ কম। কিছু চেওয়া মাছ পেয়েছি। ওই মাছ আড়তে বিক্রির জন্যে নিয়ে এসেছি।

একই এলাকার আরেক জেলে মোঃ সোলাইমান বলেন, তারা ৪ জন নদীতে নেমেছেন ইলিশ ধরার জন্য। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত যে পরিমাণ ইলিশ পেয়েছেন, তা সাইজে ছোট। তবে যেই মাছ পেয়েছেন বিক্রি করে তাদের জ্বালানি খরচও উঠবে না। এমন অবস্থা হলে নদীতে আপাতত যাওয়া হবে না।

হাজীগঞ্জ থেকে মাছঘাটে আসা ক্রেতা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, দুইমাস পরে আজ আড়তে মাছ আসা শুরু হয়েছে। তবে পরিমাণে ইলিশ কম। দাম চড়া। যে কারণে ইলিশ কিনতে পারেনি। ইলিশের আমদানি বাড়লে তখন আবার আসবো।

চাঁদপুর মাছঘাটের একাধিক জেলে অভিযোগ করে বলেন, অভিযানের সময়ে কিছু অসাধু জেলে গোপনে জাটকা মাছসহ অন্যান্য মাছ ধরেছে। যে কারণে মাছের আমদানি কম। তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিলেও মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকেনি।

আড়তদার খোকন খাঁ জানান, প্রথম দিনে ইলিশের আমদানি কম। যে কারণে দামও চড়া। আজ এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২শ’ টাকা, ৮শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৬শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা এবং ৫শ’ থেকে ৬শ’ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায়।

ইলিশ মাছ চালানি খালেক বেপারী বলেন, আজকে ঘাটে ইলিশ আসছে কম। তবে অন্য প্রজাতির মাছ আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে পোয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে ৩২০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে শুরু করে ১ হাজার ৪শ’ টাকা। ছোট সাইজের চিংড়ি প্রতি কেজি ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। চেওয়া মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা। বড় সাইজের পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে শুরু করে ১ হাজার ১শ’ টাকা। আইড় মাছ প্রতি কেজি ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। ছোট সাইজের বাটা ও বেলে মাছ প্রতি কেজি ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ শবেবরাত সরকার বলেন, দুই মাস বন্ধ থাকার পর আজ মাছ ধরা শুরু হয়েছে। তবে নদী ও সাগরে এখন ইলিশ নেই। বর্তমান যে আবহাওয়া পরিস্থিতি তাতে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। যে কারণে আড়তগুলোতে মাছ সরবরাহ কম। আজকে কয়েকটি আড়তে আনুমানিক ১০ মণ ইলিশ এসেছে। তবে সামনে যে মৌসুম আসছে তখন হয়তোবা ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়