প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
পুরাণবাজারে ফজলা চোরাসহ কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার ঘোষপাড়াসহ আশপাশের এলাকার বহু মানুষ পৌর ২নং ওয়ার্ড টিজিরোড এলাকার ফজলা চোরা ওরফে ফজলা হাওলাদারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দিনে দুপুরে রাতের আঁধারে মানুষের ঘরে ঢুকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্ককার, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। এমনকি নদীর পাড়ে গোসল করতে যাওয়া উঠতি বয়সী মেয়েদের গোসলের ভিডিও ধারণ করছে এবং ইভটিজিং করার অভিযোগও রয়েছে চরম বখাটে এই ছেলেটির বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ তার নিত্যদিনের ঘটনা। কিন্তু কী কারণে কাদের শেল্টারে সে এসব করে বেড়াচ্ছে ভয়ে কেউ কিছু বলছে না। স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের।
শনিবার ভোরে চাঁদপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডস্থ পুরাণবাজার ঘোষপাড়া এলাকায় শঙ্কর ঘোষের বসত করে ঢুকে ড্রয়ার ভেঙ্গে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে বাধা দিলে সে অস্ত্র দেখিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে ফজলা চোরার পিতা কালু হাওলাদার ও তাদের আত্মীয়-স্বজন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তার ছেলের এই অপরাধ কর্মকাণ্ড প্রতিবারই ধামাচাপা পড়ে যায়। ফজল হাওলাদার ওরফে ফজলা চোরা এই পর্যন্ত পুরাণবাজার ঘোষপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক মারামারি, চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। তার চুরি-চামারি থেকে এলাকার পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ, ৫নং ঘাটের নৌকার মাঝিরাও রেহাই পায় না। এলাকার বিভিন্ন মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনার সময় ফজলা চোরাসহ ওই এলাকার মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত কিছু বখাটে কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেকে প্রকাশ্যে দা-ছেনি ইট-পাটকেল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখেন এলাকাবাসী। সরকারি দল করে বলে পুলিশও তাদের কিছু বলছে না।
এলাকাবাসীর দাবি, ফজলা চোরাসহ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বখাটে ও কিশোর গ্যাংকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করলে এলাকার মানুষ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।