প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
পুরাণবাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতা উৎসব
নববর্ষ মানেই বাঙালিদের মনে উৎসবের আমেজ। বছরের এইদিনে ছোট-বড় সমস্ত সনাতন ব্যবসায়ী হালখাতা খোলাকে ঘিরে পূজার্চনা করে থাকেন। সারাবছরের লেনদেনের শুভারম্ভ হয় এই বিশেষ দিনটিতেই। পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষ শব্দটি উচ্চারণ করলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে হালখাতার আমেজ। হালখাতা ব্যাপারটি মূলত ব্যবসায়ীদের হলেও সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ এ সকল মানুষ ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জীবনযাপনের খাতিরেই সংযুক্ত থাকে। তাই হালখাতা উৎসবে সবার অংশগ্রহণ থাকে। এতে হিন্দু-মুসলিম পার্থক্য নেই। এই উৎসবে ব্যবসায়ীরা তাদের নিয়মিত গ্রাহক বা বাঁধা খদ্দের, বাকি-বকেয়াওয়ালা খদ্দের, পৃষ্ঠপোষক, শুভার্থী ও বন্ধুবান্ধবকে নিমন্ত্রণ করে গদিতে বা দোকানে এনে সাধ্যমতো মিষ্টিমুখ করান। নতুন বছরের মিষ্টিমুখ হালখাতা উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। হিন্দু ব্যবসায়ীরা ব্যবসার উন্নতির জন্যে গণেশ পূজা করেন হালখাতা অনুষ্ঠানে। সিদ্ধিদাতা গণেশ ঠাকুরের কাছে মন্দা থেকে মুক্তির প্রার্থনা থাকে সনাতন ব্যবসায়ীদের।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এর হালখাতা উৎসব করেছেন দেশের প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র ও চাঁদপুর জেলা শহরের প্রধান ব্যবসায়িক এলাকা পুরাণবাজারের হিন্দু ব্যবসায়ীরা। তারা পাঞ্জাবি পায়জামা সহ নতুন পোশাকের আমেজে দোকানে আগমন করেন এবং ব্যবসায় সমৃদ্ধি ঘটাতে গণেশ পূজোর মাধ্যমে আরাধনা শুরু করেন। দোকানে দোকানে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণেশ পূজার পাশাপাশি বারোয়ারি পূজা মণ্ডপে বাজারের হিন্দু ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে এবারও আয়োজন করেন বড় আকারের গণেশ পূজা।
পূজার অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, বাজারের ব্যবসায়ী শেখর পাল, শিমুল সাহা, মানিক সাহা, টিটু সাহাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন আল্লাহর নামে তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেন।