প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর মহাশ্মশানে যাত্রীছাউনি নির্মাণ কাজ উদ্বোধন
উৎসবমুখর পরিবেশে ব্যাপক ভক্ত উপস্থিতিতে গতকাল ১৭ জানুয়ারি বেলা ১১টায় চাঁদপুর মহাশ্মশানের যাত্রীছাউনি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এই কাজের উদ্বোধন করেন চাঁদপুর হরিবোলা সমিতির সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ অজয় কুমার ভৌমিক। উদ্বোধনী পর্বে তিনি বলেন, আমরা রাজা-উজির যেই হই না কেনো, মৃত্যুর পর আমাদের স্থান হবে শ্মশানে, তাই শ্মশানের উন্নয়নে সামর্থ্য অনুযায়ী সকলেরই কাজ করা উচিত। আজ সকলের সহযোগিতায় চাঁদপুর মহাশ্মশান এক তীর্থে পরিণত হচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সৌন্দর্য। একসময় এখানে সাধারণ মানুষ আসতে ভয় পেতেন। শুধু দাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্যেই এখানে মানুষ আসতেন। প্রয়োজনের বাইরে কেউই আসতেন বলে মনে হয় না। এখন আর সেই ভয় নেই। এখন প্রতিদিনই অনেক ভক্ত-অনুরাগীর উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। দাহ কাজ সম্পন্ন করতে আসা মানুষদেরকে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করতে হতো দাহ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত।
তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের চেষ্টা ছিলো একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করার, কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তা হয়ে উঠেনি। আজ তা নির্মাণে এগিয়ে এসেছেন মহৎ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন চাঁদপুর শহরের পালপাড়া নিবাসী কেদারনাথ মজুমদার (কালীপদ)। তার এই মহতী উদ্যোগ মানুষ চিরদিন স্মরণ রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমি শ্রদ্ধার সাথে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং যাদের সহযোগিতায় আজ চাঁদপুর মহাশ্মশান একটি নান্দনিক সৌন্দর্যে পরিণত হয়েছে আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেদারনাথ মজুমদার (কালীপদ)-এর সুযোগ্য সন্তান আশীষ মজুমদার, মহাশ্মশান কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা কিশোর কুমার শংকর, প্রবীর পোদ্দার, নারায়ণ মজুমদার, রতন মিত্র, সংগ্রাম চন্দ, সম্পদ সাহা, গোবিন্দ সাহা, সঞ্জিত পোদ্দার, লিটন দাসসহ সৎকার কাজে নিয়োজিত কর্মীবৃন্দ।
নির্মাণ কাজে ধর্মীয় বিধিবিধান সম্পন্ন করেন শ্রী শ্রী মহাশ্মশান কালীমাতা মন্দির কমপ্লেক্সের পুরোহিত অভিজিৎ চক্রবর্তী অভি।
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর ১২টায় চাঁদপুর মহাশ্মশানে বার্ষিক হরিনাম কীর্তনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সকল ভক্ত-অনুরাগীকে উপস্থিত থাকার জন্যে অনুরোধ জানিয়েছেন চাঁদপুর হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক।