শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফুজ্জামান ও তার দুই বন্ধুর প্রয়াস

দেশের প্রথম মাল্টিমোডাল এআই প্ল্যাটফর্ম ‘ক্রিটো’ উদ্ভাবন

অনলাইন ডেস্ক
দেশের প্রথম মাল্টিমোডাল এআই প্ল্যাটফর্ম ‘ক্রিটো’ উদ্ভাবন

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (সিআইএস) বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী, উদ্যমী তরুণ উদ্ভাবক আরিফুজ্জামান রায়হান এবং তার দুই বন্ধু শাহরুখ জায়েদ ও পার্থ সাহা মিলে উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের প্রথম মাল্টিমোডাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ‘ক্রিটো’ (www.kreeto.com), যার সূচনা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। ক্রিটো এমন ইন্টেলিজেন্স, যার আদেশে টেক্সট, আর্টিকেল, ব্লগ ছাড়াও কোডিং, ছবি, মিউজিক, ভিডিও, টেক্সট থেকে স্পিচ বা স্পিচ থেকে টেক্সট তৈরি করে দেবে। আর পুরো প্রক্রিয়া হবে স্বয়ংক্রিয়। সাধারণত যেসব জেনারেটিভ এআই প্ল্যাটফর্ম একাধিক কাজ করে, অর্থাৎ ছবি, লেখা, মিউজিক, ভিডিও তৈরি করার সুবিধা দিয়ে থাকে, সেসব প্ল্যাটফর্ম মাল্টিমোডাল (এআই) প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। সারাবিশ্বে হাতেগোণা কয়েকটি মাল্টিমোডাল ওয়েব প্ল্যাটফর্ম রয়েছে বলে নির্মাতারা জানান। নির্মাতাদের দাবি, তারা প্রায় দেড় বছর ক্রিটো ইন্টারফেস নিয়ে গবেষণা করেছেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন ও পূর্ণকালীন কাজ করছেন ১১ কর্মী।

গল্পের ছলে ক্রিটোকে নির্মাতারা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। ক্রিটো আধুনিক এক গ্রহের বাসিন্দা হলেও ঘুরতে এসে পৃথিবীতে হারিয়ে গেছে। সে এখন তার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান দিয়ে পৃথিবীর মানুষের সাহায্য করছে ক্রিটোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।

ক্রিটোর আছে ২০টি আলাদা চ্যাটবট অ্যাভাটার, যারা বহুমুখী বিষয়ে সুদক্ষ ও পারদর্শী। তাদের নামও আছে আলাদা আলাদা। ফটোগ্রাফি থেকে পেশাগত পরামর্শ, মোটিভেশন থেকে রিসার্চ, এমনকি সাধারণ চিকিৎসক থেকে নিউরোসার্জন বিশেষজ্ঞ পর্যন্ত এক্সপার্ট চ্যাটবট অ্যাভাটার আছে ক্রিটো আবহে। যে কেউ পড়ালেখা, রিসার্চের কাজে, কন্টেন্ট লেখা বা ভয়েস দেয়ার কাজে ক্রিটোকে ব্যবহার করতে পারবে।

ক্রিটোর আরেকটি চমকপ্রদ অংশ হচ্ছে ক্রায়োসিন্থ, যা ১৩০টি ভাষায় অবিকল মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে অডিও ফাইল শুনে আপনাআপনি লিখে দিতে পারে কী বলা হচ্ছে অডিওতে। সাবটাইটেল বানাতে এবং ইউটিউব ভিডিও বানাতে ক্রিটোর ‘ক্রায়োসিন্থ’ বেশ দক্ষ বলে দাবি করেছেন নির্মাতারা। উল্লিখিত এআই প্ল্যাটফর্মে ‘ক্রিজেন এআই ইমেজেস’ নামে ইমেজ জেনারেটর ফিচার থাকছে। যেখানে সহজ টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমেই চমকপ্রদ সব ছবি তৈরি করা সম্ভব নিমিষে। ক্রিজেনে অচিরেই ভিডিও জেনারেশনের ফিচারও চালু করা হবে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা।

মূলত ‘এআই’ প্ল্যাটফর্মের চেয়ে শক্তিশালী ও বেশি ফিচারসমৃদ্ধ হলেও প্ল্য্যাটফর্মে ব্যবহারের খরচ একদমই কম। এমনকি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত যার ব্যবহার একদম ফ্রি। ইতোমধ্যে অভিনব আইডিয়া দিয়ে ক্রিটো ‘গ্লোবাল স্টুডেন্টস এন্টারপ্রেনিউরশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।

এ উদ্ভাবন সম্পর্কে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (সিআইএস) বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. সারওয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, প্রযুক্তির এই বিশ্বায়নের যুগে আজকে তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়কে যখন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটছে, সারা পৃথিবী যখন সরকার থেকে শুরু করে প্রান্তিক মানুষ সর্বশেষ প্রযুক্তির জগতে বিচরণ করছে, তখন এ ধরনের উদ্ভাবন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তাছাড়া বর্তমান সময়ে যখন আর্টিফিসিয়েল ইনটেলিজেন্স, তার সাথে ম্যাশিন লার্নিং যুক্ত হয়েছে, যুক্ত হয়েছে অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটিসহ আমাদের যে ইন্ডাস্ট্রির, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ব্যবহারে এই প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়