প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় এক হিন্দু পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন রুবেল মুন্সীর পরিবার। বিষয়টি পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করলে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করেন।
জানা যায়, পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার গৃহবধূ এক সন্তানের জননী আরতি রিষির (২৬) সাথে একই এলাকার আমির মুন্সীর ছেলে ২ সন্তানের পিতা রুবেল মুন্সীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই ঘটনা উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে লোকলজ্জার ভয়ে আরতি রিষির পরিবার সেটি চেপে যায় এবং রুবেল যাতে ব্যাপারটি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে সে ব্যাপারে স্থানীয় ক’জনকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করে। কিন্তু তাদের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও প্রেমের টানে রুবেল রাতের অন্ধকারে সকলের অগোচরে গৃহবধূর কাছে আসা-যাওয়া অব্যাহত রাখে। এমনি করে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে গত ১৮ আগস্ট গৃহবধূকে নিয়ে চম্পট দেয়। এ ঘটনায় উভয়ের পরিবারই তাদেরকে খুঁজতে থাকে। অবশেষে রুবেলের পরিবার নারায়ণগঞ্জের এক বাড়িতে তাদের থাকার সংবাদ পেয়ে তারা ওই গৃহবধূরে স্বামীকে নিয়ে রাতের অন্ধকারেই নারায়ণগঞ্জে ছুটে যায় এবং সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে চাঁদপুরে নিয়ে আসে। স্বামীও তার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তাদের অভাবের সংসার হওয়ায় স্বামী বিশ্বনাথ রিষি তার একমাত্র নাবালক কন্যার মুখের দিকে তাকিয়ে ব্যাপারটি এড়িয়ে যান এবং ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে নিয়েই সংসার করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
এ ঘটনা ইতিমধ্যে জানাজানি হলে পাশর্^বর্তী অনেক মানুষ তার বাড়ি-ঘরে ভিড় জমান। এরই মধ্যে ছুটে আসে রুবেল মুন্সীর স্ত্রী নুরন্নাহার বেগম। সে আরতি রিষিকে তার পরিবারের সামনেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মারধর করে। এ ঘটনায় বিশ^নাথ রিষির পরিবারের সকলেই ভয় পেয়ে যান। তারা প্রতিবাদ করতে গিয়েও রুবেলের পরিবারের পেশী শক্তির কারণে কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুরাণবাজার ফাঁড়ির এসআই মোর্শেদ ও আনোয়ার ছুটে আসেন এবং কিছুতেই যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয়, তার জন্যে উভয় পরিবারের সদস্যদের সাবধান করে দিয়ে যান। এর মধ্যেই রুবেল অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় পুনরায় রুবেলের পরিবারের লোকজন আরতি রিষির বাড়িতে এসে তাদের পরিবারকে হুমকি প্রদানপূর্বক মারমুখী হয়ে উঠে এবং রুবেলের কিছু হলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলাসহ নানা হুমকি প্রদান করে। তাদের এ ধরনের হুমকিতে আরতির পরিবারটি ঘাবড়ে যায়। তারা প্রাণ ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বিষয়টি পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে তারা তাৎক্ষণিক রুবেল মুন্সীর পরিবারকে সাবধান করে দেয় এবং পুনরায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তাদেরকে সাবধান করে দেন।