শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৪

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি

নোয়াখালী প্রতিনিধি
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি

নোয়াখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু ও সাংবাদিক একেএম ফারুক হোসেনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে একটি ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানায় এই জিডি করেন। যার নং ৬০৫ /০৯.০১.২০২৫। সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের একজন সদস্য, তিনি দ্য ডেইলি পোস্ট পত্রিকা ও সময়ের কণ্ঠস্বর অনলাইন মাল্টিমিডিয়া গণমাধ্যমের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। অপর ভুক্তভোগী সাংবাদিক এ কে এম ফারুক হোসেনও নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের একজন সদস্য ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি ২০২৫) সন্ধ্যায় Bakhtiar Shikdar নামে একটি ফেক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক বখতিয়ার শিকদারের বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করি না। আমার নাম ও ছবি দিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ফেক আইডি খুলে আমার এবং আমার সহকর্মীদের নামে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এই ভুয়া আইডির বিরুদ্ধে আমি গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে থানায় একটি জিডি করেছি।

সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু অভিযোগ করে বলেন, ফেক আইডির মিথ্যা প্রপাগান্ডায় কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এই ফেক আইডি থেকে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সম্মানহানি করার জন্যে এই আইডি থেকে আমার ছবি দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। যার কোনো ভিত্তি নেই। আমি দীর্ঘদিন থেকে পরিচ্ছন্নভাবে পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমি এমন মানহানিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আপত্তিকর মন্তব্য করে ভুল ব্যাখ্যায় আমার ছবি সম্বলিত ভিডিও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করেছি। এখানে আসল বিষয় হচ্ছে, গত কিছুদিন আগে আমার আপন বড়ো ভাইয়ের বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হয়। তারপর আমরা চোরকে শনাক্ত করতে সমর্থ হই। পরবর্তীতে চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারা চোরাইকৃত স্বর্ণ কোন্ দোকানে বিক্রি করেছে সেটা জানতে চাইলে তারা জানায়, বিশ্বনাথের 'শিল্পী স্বর্ণ শিল্পালয়' নামে একটি স্বর্ণের দোকানে তারা স্বর্ণ বিক্রি করেছে। চোরের দেওয়া তথ্য মতে চোরকে নিয়ে আমি সেই দোকানে যাই। এ সময় আমাদের আরো সাত-আটজন সাংবাদিক সহকর্মী এসে হাজির হয়। পরবর্তীতে চোরের সম্মুখে সেই স্বর্ণের দোকানদারের কাছে জানতে চাইলে দোকানদার স্বর্ণ কিনেছেন বলে স্বীকার করেন এবং স্বর্ণ কিনে তিনি তা বিক্রিও করে ফেলেন বলে জানান। তার জবানবন্দির পুরো ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। দোকানদার অন্যায়ভাবে স্বর্ণ ক্রয় করার কারণে সে দোষী সাব্যস্ত হওয়াতে তার পার্শ্ববর্তী পরিচিত কিছু সাঙ্গপাঙ্গ দোকানদারকে বাঁচাতে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের সাথে আমাদের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার দু-একজন সহকর্মীর সাথে দুর্ব্যবহার করে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে কারণে আমার সহকর্মীরা পুলিশে খবর দিয়ে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ দিলে সেই স্বর্ণ দোকানদারসহ যারা দুর্ব্যবহার করেছে তারা সকলে থানায় গিয়ে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায়, মুচলেকা দিয়ে ক্রয়কৃত স্বর্ণ ফেরত দেয় এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি করে। যার পূর্ণ বিবরণ আমার অভিযোগে আমি লিখেছি।

এ বিষয়ে সাংবাদিক একেএম ফারুক হোসেন বলেন, আমরা আমাদের সহকর্মীর ভাইয়ের চুরি হওয়া স্বর্ণের বিষয়ে আপোষ নিষ্পত্তির জন্য সেখানে যাই। স্বর্ণ দোকানদারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তির পর্যায়ে চলে আসলে একদল অসাধু চক্র আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। যে কারণে আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে তারা থানায় মুচলেকা দিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চায় এবং চোরাইকৃত স্বর্ণ ফেরত দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের ভিডিও ধারণ করে তা ভুল ব্যাখ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের সম্মানহানি করা হয়েছে। আমরা আইনি প্রতিকার আশা করছি।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়