প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
![একজন সফল শিক্ষকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন](/assets/news_photos/2023/02/15/image-29642.jpg)
আমাদের প্রিয় শিক্ষক জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (অবঃ) গত ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হঠাৎ বুকের ব্যথা নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। ডিউটি ডাক্তার তাৎক্ষণিক ঔষধ ও ইনজেকশন দিয়ে দ্রুত ঢাকার ল্যাবএইড অথবা বড় যে কোনো হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার ভাই-বোন ও মেয়েসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে রাত ৩:৪৫ মিনিটে পৌঁছে। পৌঁছানোর পর তার আত্মীয়স্বজন ডাঃ মুক্তা ও ডাঃ অর্চি এবং অন্যরা সিসিইউর ২১নং বেডে ভর্তি করান। এখানকার ডাক্তারদের টিমলিডার ডাঃ এ.পি.এম. সোহারাবুজ্জামান দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে ঘুম পাড়ান। পরদিন দুপুর ২:৩০ মিঃ ঘুম থেকে জেগে উঠেন বুকের ব্যথা কমতে থাকে। ২১ জানুয়ারি আত্মীয়স্বজনদের উপস্থিতিতে দুপুর ১২:৩০ এনজিওগ্রাম করা হয়। দুটি হার্টের বাল্বে অসুবিধা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ২৩ জানুয়ারি ল্যাবএইড থেকে ছাড় পেয়ে ধানমন্ডি কলাবাগানে আত্মীয়ের বাসায় তাকে উঠানো হয়। ২৫ জানুয়ারি দুপুর ২:৩৫ মিনিটে পুনরায় চীফ কার্ডিওলজিস্ট ল্যাবএইড হাসপাতালের ডাঃ লুৎফর রহমান রোগীর শারীরিক ফিটনেস সাপেক্ষে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ‘ওপেন হার্ট সার্জারী’ করার ঘোষণা করেন। বিগত দিনে জনাব মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে চাঁদপুর পৌরসভাধীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উচ্চলাফ, দীর্ঘলাফ, সাঁতারে উপজেলা ও জেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত অংশগ্রহণ করে নয়ন মুন্সি, ইয়াছিনসহ আরো কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। সাথে ছিলেন শিশু একাডেমির অফিসার খলিলুর রহমান সবুজ স্যার, ডি.এন. হাই স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক সাইমন স্যারও। পুনরায় প্রধান শিক্ষক রুবিনা রহমানের উৎসাহে পৌরসভার ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রিকেট টিমে অংশ নিয়ে টেলিভিশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আক্কাছ আলী রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু ফুটবল চ্যাম্পিয়ন, বঙ্গমাতা ফজিলতুননেছা মুজিব ফুটবলে পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা তিন স্তরে চ্যাম্পিয়ন অর্জন করে। মিজান স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধান শিক্ষক রুবিনা রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় চট্টগ্রাম যাতায়াতের খরচ বহন করেন যুবলীগের মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কালু ভাই। মিজান স্যার সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মিজান স্যারের প্রাক্তন ছাত্রী রাবেয়া সফরমালী হাই স্কুলের অংকের শিক্ষক এবং সেলিম সরকার মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ নাভানা কনস্ট্রাকশনে জড়িত আছে, এ কে এম আজাদ উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে চাকুরি করছেন। মাহাবুবুর রহমান মিজি খোকন একজন কৃষিবিদ হিসেবে উচ্চ পর্যায়ে চাকুরিতে আছেন। আরো অনেকে উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন অফিসে আছেন। অনেক ছাত্র প্রবাসে আছেন। বর্তমানে স্যারের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার সুস্থতার জন্য ৬-৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। তার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য ‘চাঁদাবাজি নয় ভিক্ষা নয়’ মানবিক সাহায্য করতে সকল খেলোয়াড়সহ সাধারণ শুভাকাক্সক্ষীদের ২০/৫০ টাকা বিকাশে পেমেন্ট করার অনুরোধ করছি (বিকাশ নং : ০১৭১৮-৫৬৭৮০৬)। বর্তমানে মিজান স্যার চাঁদপুর স্টেডিয়াম কিশোর ফুটবল একাডেমির সাথে জড়িত। যার প্রধান কোচ জনাব ইউসুফ বকাউল। পহেলা ফেব্রুয়ারিতে সাহায্যের জন্য একটি আবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
আবেদন- জুয়েল বেপারী (চাঁদপুর টাওয়ার, ২য় তলা) [০১৬৮২-৬৬৭৬৫৩]
সবুজ আখন্দ (পুলিশ বক্স সংলগ্ন, ঘড়ির দোকান) [০১৮৪৭-১০৮২৬০]