প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
![হাজীগঞ্জে বালু পরিবহনে জনসাধারণ ও সড়কের ব্যাপক ক্ষতি](/assets/news_photos/2023/02/15/image-29641.jpg)
হাজীগঞ্জের প্রধান ও মফস্বলের সড়কগুলোতে বিভিন্ন যানবাহনে বেপরোয়া গতিতে বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এতে সড়কের ক্ষতিসহ সড়কে চলাচলকারী সাধারণ জনগণ ও যাত্রী সাধারণের চোখে সমস্যা সৃষ্টিসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ট্রাক থেকে উড়ে আসা বালির কারণে মাঝে মাঝে ঘটছে দুর্ঘটনা। ওভারলোড বালু পরিবহনের কারণে সড়কের পেভমেন্ট ও শোল্ডার ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান সড়ক সংশ্লিষ্টজনেরা।
হাজীগঞ্জ বাজারের আশেপাশে তথা খাটরা বিলওয়াই, দক্ষিণ বলাখাল, রান্ধুনীমুড়া, নোয়াদ্দা, মকিমাবাদ, আলীগঞ্জে প্রায় শতাধিক বালু মহাল রয়েছে। এই সকল বালু মহালের অধিকাংশ বালু ভারী ট্রাক তথা ২২ চাকা, ২৪ চাকার ভারী ট্রাকে করে রামগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়াতে পরিবহন করা হয়। এই সকল ট্রাক সারাদিন বালি পরিবহন করে থাকে। বালি পরিবহন করাকালে অধিকাংশ ট্রাকে ট্রিপল দিয়ে বালি ঢেকে রাখা হয় না। যে ট্রাকে ট্রিপল দেয়া হয় তার মধ্যে আবার অর্ধেকগুলোতে ট্রিপলে অর্ধেক বালি ঢাকা থাকে। যার কারণে যতক্ষণ ট্রাক সড়কে চলে, ততক্ষণ ট্রাকের পিছনে পিছনে বালু উড়তে থাকে। ট্রাকের পিছনে বালু উড়তে থাকা অবস্থায় পেছনে যতো গণপরিবহন কিংবা খোলা পরিবহনে যাত্রী থাকে, সবার শরীরে নাকে-মুখে উড়ন্ত বালির ঝাপটা যায়ই। বহু স্থানে উড়ন্ত বালি সড়কের পাশে জমে বালির আস্তর পড়েছে।
সরজমিনে আরো দেখা যায়, ভারী ট্রাকের পাশাপাশি সড়কে দিনরাত ভটভটি (হ্যান্ড ট্রাক্টর), পিকআপ (মিনি ট্রাক), বড় ট্রাক ও ১০ চাকার ডাম্পারে করে প্রতিদিন বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ গাড়িতে অতিরিক্ত বালু লোড করা থাকে। আবার লোডকৃত বালুবাহী গাড়িগুলোতে ত্রিপলের ব্যবহার থাকে নামে মাত্র বা লোক দেখানো।
হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের জিয়ানগর থেকে পুরো সড়কের বহু স্থান লেপ্টে গেছে। সড়কের এই অংশগুলো লেপ্টে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে সড়কে ওভার লোড অবস্থায় বালু পরিবহনকে দায়ী করছেন বহুজনে। তবে অনেকে আবার সড়কের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
হাজীগঞ্জ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোশরাফ হোসেন জানান, আমরা এ বিষয়ে বালু পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। অন্তত সড়কগুলো ভালো রাখতে বালুবাহী ভারী ট্রাক, ওভার লোডেড বালু পরিবহন আর দুই এক্সেলের ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, নিয়ম মেনে ট্রাকে করে বালি পরিবহন না করলে আমরা এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নেবো।