প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
হাজীগঞ্জে ‘আর্সেনিকোসিস রোগীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের অফিস এবং স্থাপিত স্যাটেলাইট ক্লিনিক, চাঁদপুর-১ (হাজীগঞ্জ) সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং প্রত্যাশী সংস্থা নবজীবন (সাতীরা) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ও ক্লিনিক পরিদর্শন করেন তিনি।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন আলীগঞ্জ প্রকল্পের সাইট অফিস পরিদর্শন ও হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজে স্যাটেলাইট ক্লিনিকে অনুষ্ঠিত এক কাউন্সিলিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম। এ সময় তিনি আর্সেনিকে আক্রান্ত (আর্সেনিকোসিস) রোগীদের মাঝে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আব্দুল কাদের কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘আর্সেনিকিউর’ লোশন বিতরণ করেন। এর আগে প্রকল্প পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
‘আর্সেনিকোসিস রোগীদের সচেতনতা সৃষ্টি ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলামের সভাপ্রধানে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলিং সভায় হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান মানিক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় চাঁদপুর জেলার প্রকল্পের কর্মএলাকা সংশ্লিষ্ট ৭ উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর ও সাতক্ষীরা জেলায় আর্সেনিকোসিস রোগীদের জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে আর্সেনিকোসিস রোগীদের প্রাথমিক জরিপ বা তথ্য সংগ্রহ, চাঁদপুরে ৫টি ও সাতক্ষীরায় ৫টিসহ মোট ১০টি স্যাটেলাইট ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পে নিয়োজিত চিকিৎসকগণের মাধ্যমে জরিপভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে চাঁদপুরে ২ হাজার ও সাতক্ষীরায় ২ হাজারসহ মোট ৪ হাজার রোগী শনাক্ত এবং শনাক্তকৃত রোগীদের আর্সেনিকোসিস সচেতনতা মূল্যায়ন ও কাউন্সিলিং, ৫টি গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট (পরীক্ষা), পথ সহযোগিতার মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, ৬ মাস রোগীদের ফলোআপ, কাউন্সিলিং এবং তথ্য সংগ্রহ ও সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণপূর্বক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।