রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

স্থানের অভাবে হাসপাতালের উন্নয়ন কাজ বিঘিœত হচ্ছে
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চাঁদপুরের সাথে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভা ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সেবা নিশ্চিতকরণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করণীয় ও আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাকের সহ-সভাপতি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়–য়া। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, জায়গা সংকুলানের অভাবে হাসপাতালের আইসিইউসহ অনেক উন্নয়ন কাজ বিঘিœত হচ্ছে। শুধু পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে হাসপাতালের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম ফেরত যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। সনাক-টিআইবি’র যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক। হাসপাতালের অবকাঠামোগত সমস্যা ও জনবলের সমস্যা ব্যাপক হওয়ার পরও হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম একটুও বিঘিœত হয়নি। হাসপাতালে ২৫০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৩৫০ জন্য রোগী ভর্তি থাকে।

তিনি আর বলেন, হাসপাতালটি মূলত ১০০ শয্যার কিন্তু এই ১০০ শয্যার জনবল দিয়েই ২৫০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাসময়ে হাসপাতালে উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। হাসপাতালে সেবা নিতে এসে কেউ সেবা না নিয়ে চলে গেছে এমন কোনো রেকর্ড নেই। হাসপাতালের ওয়েবপোর্টাল আপডেট করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে তিনি সনাকের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে আমাদের মন্ত্রী মহোদয় যেভাবে সহযোগিতা করছেন আমরা আশা করছি খুব শৗঘ্রই আমরা হাসপাতালের জনবল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারবো। করোনাকালে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারটি বন্ধ থাকলেও কদিনের মধ্যেই আবার চালু করা হবে। এছাড়াও ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

তিনি বলেন, হাসপাতালের সেবা সম্পর্কিত তথ্য সংকটের কারণে কোনো সেবাপ্রত্যাশী সেবা থেকে যেন বঞ্চিত না হয় এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন্নবী মাসুম। তিনি বলেন, সনাক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমন্বয় ও পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। হাসপাতালের সেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে হলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। সনাক আজ চমৎকারভাবে তথ্য অধিকার আইন নিয়ে ধারণা দিয়েছেন। রোগীর তুলনায় হাসপাতালে জায়গার সংকুলান খুবই কম। সকলের সহযোগিতা থাকলে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করা ও হাসপাতালের সেবার মান আরও বেশি বৃদ্ধি করা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে সনাকের সহ-সভাপতি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়–য়া বলেন, সনাকের কাজ হলো সিরিজ কাগজের মতো। আমরা হাসপাতালের কোন ত্রুটি বিচ্যুতি ধরতে আসিনি। আমরা মূলত এসেছি পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়ন করার জন্য। হাসপাতালে দীর্ঘদিন জনবল সংকট রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সকল সমস্যার সমাধান হবে। তিনি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।

টিআইবির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোঃ মাসুদ রানা হাসপাতালে সেবাদাতাগণের সময়ানুবর্তিতা, প্রত্যাশিত জনবল নিশ্চিতকরণ হাসপাতালের সেবার উন্নয়নে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোকে কার্যকর করা, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার-এর আধুনিকায়ন/মা বান্ধব করা, দৈনিক ওষুধ সরবরাহের তালিকার আধুনিকায়ন ও হালনাগাদকরণ, অভিযোগ নিস্পত্তি কমিটি, হাসপাতালের ওয়েব পোর্টাল হালনাগাদকরণ, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ ও ডিআইও বোর্ড স্থাপন, জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে তথ্য প্রদান ও এ সস্পর্কিত রেজিস্টার/ফাইল সংরক্ষণ, হাসপাতালের সিটিজেন চার্টার হালনাগাদকরণ, পরামর্শ ও অভিযোগ বক্স কার্যকরকরণ, তথ্যের উন্মুক্ত প্রকাশ (আইইসি উপকরণ, সিটিজেন চার্টার, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হালনাগাদ ও ডিসপ্লে করা, ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপন করেন।

এছাড়া মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, সেবিকাবৃন্দ, অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি) সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মানিক ও সহ-সমন্বয়ক শিল্পী সেন, ইয়েস গ্রুপের সদস্য মেহেদী হাসান নবীনসহ টিআইবি কর্মীবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়