রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

কাঠের পুলে হাজারো গ্রামবাসীর দুর্ভোগ অবসান
মাহবুব আলম লাভলু ॥

মতলব উত্তর উপজেলায় একটি কাঠের পুল নির্মাণ হওয়ায় দুটি ইউনিয়নের মানুষের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। আর এ দাবিটি কাঠের সেতুর মাধ্যমে পূরণ হলো কয়েক যুগ পর। কাঠের পুলটি নবুরকান্দি খালের (বড় আকারের খাল) গোয়ালভাওর নামক স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। পুলটির এক পাশে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন আর অন্য পাশে ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন।

স্থানীয়রা জানান, একটি ব্রিজের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুই পাড়ের জনপদের যোগাযোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিলো। নৌকা ও কলাগাছের ভেলা বানিয়ে তারা আসা-যাওয়া করতেন। তাই একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি ছিলো বাসিন্দাদের।

স্থানীয় মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী একটি কাঠের পুল করে দেয়ার আশ^াস দেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের একটি প্রকল্প থেকে ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি কাঠের পুল করে দেন। ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে পুলটি নির্মাণ করা হয়।

ফতেপুর পশ্চিম ও ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই কাঠের পুলটি। তাছাড়া আরো দুই-তিন গ্রামের লোকজনও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। গ্রামের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আসার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এখন এই কাঠের পুল।

শুকনো মৌসুমে কোনোমতে এই খালটি পার হতে পারলেও বর্ষায় গ্রামটির জনগণ কার্যত বন্দী অবস্থায় থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই খাল পারাপারে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এতে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা দুর্ভোগ পোহাতেন সবচেয়ে বেশি। আর রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া যে কত কষ্টের তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ইউপি সদস্য গোলাম নবী খোকন বলেন, কালক্রমে দুই পাশ ভেঙে খালটি বড় হয়ে গেছে। ফলে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ শিক্ষার্থীদের দিক বিবেচনা করে উক্ত স্থানে যেন একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেন।

ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী বলেন, গোয়ালভাওর আমার পাশর্^বর্তী গ্রাম। সেতুর অভাবে এলাকার মানুষ দিনের পর দিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এবার নির্বাচনের সময় ওই গ্রামের লোকজন একটি কাঠের পুল না থাকার আক্ষেপ আমার কাছে এসে জানান। আমি সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাটি সমাধানের আশ^াস দিই। পরে নিজে গিয়ে দেখে এসে সম্প্রতি কাঠের পুল নির্মাণ করে দিয়েছি।

এ খালটি মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভেতরে। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে এটি একটি দীর্ঘতম খাল। এ খালের দু’পাশে অনেকগুলো গ্রাম। খালটি পারাপারের জন্যে স্থানীয়দের অনেক পথ ঘুরে গন্তব্যে যেতে হয়। এ খালটির উপর দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে জানান স্থানীয়রা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়