রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

শীতার্তদের মাঝে আপন-এর কম্বল বিতরণ
অনলাইন ডেস্ক

‘আমরা পর নই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে পথচলা স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন আপন-এর উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে মাসব্যাপী কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন হলরুমে অর্ধশতাধিক নি¤œমধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ।

আপনের প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক রোটাঃ ডাঃ রাশেদা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আশিক বিন রহিমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাস্টার, আপনের উপদেষ্টা রোটাঃ ডাঃ মাসুদ হাসান ও চাঁদপুর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেএম মাসুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমএ ওয়াদুদ বলেন, সামাজিক সংগঠন আপন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন মানবিক কর্মকা- চালিয়ে আসছে তারা। করোনার দুর্যোগে অসহায় মানুষদের যেভাবে খাদ্য এবং অক্সিজেন সহায়তা দিয়েছে তা চাঁদপুরবাসীর মাঝে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এই সংগঠনের কার্যক্রমকে আমি অন্তর থেকে সাধুবাদ এবং অভিনন্দন জানাই। এবার তারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শতবার্ষিকীকে সামনে রেখে মাসব্যাপী অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানোয় আমি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সংগঠনটির সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

সভাপতির বক্তব্যে আপনের প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক রোটাঃ ডাঃ রাশেদা আক্তার বলেন, মানুষ থেকে যেমন মানবতার সৃষ্টি, তেমনি মানুষ দ্বারাই সেই মানবতা ধ্বংস করা হয়। মানবতা তখনই সর্বোৎকৃষ্ট পর্যায়ে অবস্থান করে যখন তা পরিপূণর্ভাবে যথাযথ স্থানে প্রয়োগ করা যায়। অন্যথায় মানবতা কথাটির প্রকৃত কোনো অর্থ প্রকাশ পায় না। একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত মানবতার কল্যাণে কাজ করা। মানুষের জন্য কিছু করার মতো তৃপ্তি অন্য কিছুতে নেই।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের মহান ত্যাগের কল্যাণে আজকে আমরা স্বাধীন মানচিত্র পেয়েছি। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান করবেন। তাঁদের মনে কষ্ট হয়, এমন কোনো কথা কেউ বলবেন না। এই বীর সন্তানরা যদি তাঁদের জীবনকে বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ না করতেন তবে আজকে আমরা স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করার অধিকার পেতাম না।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আপনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আল-আমিন মুন্সি, সম্মানিত সদস্য মুরাদ হাসান, সাঈফ পাটোয়ারী, মিশকাত খান, জাকারিয়া, নাসির প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়