প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কাশেম খানের বিরুদ্ধে অন্যের প্ররোচনায় ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ এনে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন মনোয়ারা বেগম নামে এক নারী শ্রমিক। অবশেষে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের নিকট মনোয়ারা বেগম মামলাটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে ও মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ ছিদ্দিক খানের তৃতীয় স্ত্রী (মাটি কাটার শ্রমিক) মনোয়ারা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯ (৪)(খ) ধারায় চেয়ারম্যান মোঃ কাশেম খানকে আসামী করে মামলা করেন।
মামলাটি আদালত আমলে নেয় এবং চলমান থাকে। ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক গত ১০ নভেম্বর জেলা লিগাল এইড অফিসারকে আদেশ দেন। সেই আদেশের পর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ১৬ নভেম্বর মামলার বাদীকে তার আইনজীবী নিয়ে তার কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেন। নির্ধারিত তারিখে মনোয়ারা বেগম তার আইনজীবী নিয়ে উপস্থিত হন।
বাদী মনোয়ারা বেগম জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের নিকট উপস্থিত হয়ে বলেন, তিনি মামলার বাদী। আসামী কাশেম খান। ঘটনার তারিখ তার মনে নেই। ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলা হয়। আসামীর বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তকালে আর কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ দিবেন না এবং তিনি মামলা পরিচালনা করবেন না।
এছাড়াও বাদী মনোয়ারা বেগম তার স্বামী ছিদ্দিক খানসহ অন্যের প্ররোচনায় চেয়ারম্যান কাশেম খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেছেন বলে জানান।
চেয়ারম্যান কাশেম খান বলেন, মনোয়ারা বেগম যে অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, এমন কোনো ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। আমি যদি এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকি তাহলে আল্লাহ আমার বিচার করবে। আর যারা ষড়যন্ত্র করে আমার সামনের নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এই মিথ্যা মামলা দিয়েছে, আল্লাহ যেন তাদের বিচার করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলার বাদী তদন্ত অফিসারের নিকট স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এই প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন। আদালতের নিয়মানুযায়ী মামলাটি খারিজ হবে।