শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

আলগী বাজারে জমে উঠেছে শীতের পিঠার দোকান
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি ॥

কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল-সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে সরিষা, ধনেপাতা, শুঁটকি ভর্তা মাখিয়ে গরম গরম চিতই পিঠা খাওয়ার কথা মনে হলেই জিভে জ্বল আসে। ভাপা পিঠার সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে। শীতের আমেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কদর বেড়েছে এসব নানা রকমের পিঠার। গ্রামে ও শহরে পিঠার দোকানে ভিড় জমতে শুরু করেছে।

এই শীতে মুখরোচকদের চাহিদা মেটাতে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো হাইমচর উপজেলার সদর আলগী বাজারের বিভিন্ন মোড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। এসব দোকানে মূলত ভাপা, চিতই, তেলের পিঠাসহ নানান বাহারী পিঠা বানানো হচ্ছে। প্রতিটি পিঠার দাম ৫-১০ টাকা। রিকশাচালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকুরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার এসব দোকানে ভিড় করছে। অনেকে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও এসব দোকানে পিঠা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। তবে পিঠা বিক্রেতারা বলেছেন, চালসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হলেও পিঠার দাম বাড়েনি।

হাইমচর বাজারের একজন পিঠা ক্রেতা আব্দুস সোবহান বলেন, শীতের ঠা-া বাতাসে গরম গরম পিঠা খেতে খুব মজা লাগছে। আমি দুটা খেয়েছি এবং বাড়ির জন্য ৫টা নিয়ে যাচ্ছি।

পিঠা খেতে আসা স্কুল ছাত্র রাকিব হোসেন বলেন, বিকেল হলে চপ, সিঙ্গারা, পুরিসহ টুকটাক কিছু খেতাম, কিন্তু এখন ভাপা পিঠা কিনে খাই।

বিসমিল্লাহ মোড়ের পিঠা বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক কাজী বলেন, শীতের মৌসুমে আমরা বেশ কয়েকজন পিঠা বিক্রি করি। চাহিদা না থাকায় আমি কেবলমাত্র ভাপা পিঠা তৈরি করি।

তিনি জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে প্রায় ১৮০০-২২০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেন তারা। এ থেকে খরচ বাদে প্রায় ৭০০-৯০০ টাকা লাভ হয়।

তিনি বলেন, আমি গরমের সময় দিনমজুরের কাজ করি। শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রি করি। এতে বাড়তি আয় করে ভালোভাবে ছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই আছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়