প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২১, ০০:০০
ঘটনাস্থলে না থেকেও কর্মস্থলে চাকুরি করে একই পরিবারের ৪ জন হয়েছেন হত্যা মামলার আসামি। চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদী গ্রামের ইকবাল হোসেন খোকার উপর গত ২৯ মে হামলা ও তাকে দোকানের ভেতরে আটকে রেখে পেট্রোল ছিটিয়ে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ৯ দিন পর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান।
খোকা হত্যার ঘটনায় তার ছেলে সোহেল খান বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে একই পরিবারের বাবা-ছেলেসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়। এরা হলো : সুমন খান (৪০), শরীফ খান (৩৪), আরিফ খান (২৬) ও বশির উল্লাহ (৬৬)। কিন্ত ঘটনার দিন বশির উল্লাহ ছাড়া অন্য তিনজনই এলাকায় ছিলেন না।
আর বশির উল্লাহ হচ্ছেন শ^াসের রোগী। তিনি বিছানায় শয্যাশায়ী। সুমন খান, শরীফ খান ও আরিফ খান তারা ঘটনার দিন তাদের কর্মস্থল ঢাকা ও চাঁদপুর শহরে ছিলেন। এদের মধ্যে সুমন খান ঢাকায় একটি এমব্রয়ডারী দোকানে চাকুরি করেন। ঘটনার সময় তার কর্মস্থলে থাকার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। শরীফ খান ফলের দোকানে চাকুরি করেন। আর আরিফ খান গার্মেন্টসে চাকুরি করেন। ঘটনার দিন তার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু একটি চক্র অর্থ হাতিয়ে নিতে ও হয়রানি করার জন্য বাদী পক্ষকে দিয়ে তাদের চারজনকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’ব্যক্তি জানান, ঘটনার দিন বশির উল্লাহ খানের ছেলেরা বাড়িতে ছিলো না। আর বশির উল্লাহ খান বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ। খোকার উপর হামলা ও মারা যাওয়ার পরও কারো কাছে শুনিনি বশির উল্লাহরা এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো।
এলাকার একটি কুচক্রী মহল বশির উল্লাহ খানদের পরিবারদেরকে হয়রানি করার জন্য তাদেরকে মামলায় জড়িয়ে দেয়। এলাকাবাসী ভালো করে জানেন কাদের ইন্দনে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ওই চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায়নি।
এ ব্যাপারে প্রশাসন প্রকৃত দোষী ও ইন্দনদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এলাকাবাসীর। উল্লেখ্য, এ এলাকায় পূর্বেও সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মামলার বিষয়ে ব্যাপারে সুমন খান, শরীফ খান ও আরিফ খান বলেন, আমরা হামলার ঘটনার দিন বাড়িতেই ছিলাম না। আমার চাকুরি করি। হামলার ঘটনার দিন আমাদের কর্মরত প্রতিষ্ঠানে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির ভিডিও ফুটেজ আছে। হামলার দিন আমরা কর্মরত প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। আমাদের বাবা বৃদ্ধ মানুষ, শ^াসকষ্টের রোগী। আমাদের বাবা নিজেরই চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। আমরা একটি মহল কর্তৃক হয়রানি শিকার হচ্ছি। প্রশাসন এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাসা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি জানাই।