প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে নেই পাবলিক টয়লেট
কোর্ট স্টেশনসহ রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণের দাবি
চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র বলতে বোঝায় যে শপথ চত্বরকে, সেখানে নেই কোনো পাবলিক টয়লেট। চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানসহ দেশের নানা জায়গা থেকে এখানে আগত লোকজন প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে গিয়ে নিকটস্থ কোর্ট স্টেশন, রেলওয়ে বায়তুল আমিন জামে মসজিদে মুসল্লিদের ব্যবহার্য টয়লেট, মসজিদ লাগোয়া পশ্চিম পাশর্^স্থ পুকুরের দক্ষিণ পাড়, গুয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশর্^স্থ মাঠ এবং চৌদ্দ কোয়ার্টার প্রাঙ্গণের যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হতে হয়। ফলে দুর্গন্ধময় অবস্থায় বিশ্রী পরিবেশে শপথ চত্বর সংলগ্ন উক্ত স্থানগুলোতে লোকজনকে অবস্থান এবং চলাফেরা করতে হয়।
|আরো খবর
চাঁদপুর শহরের এই প্রাণকেন্দ্রে পাবলিক টয়লেট নির্মাণে চাঁদপুর পৌরসভার আগ্রহ থাকলেও জায়গার অভাবে তারা সেটি করতে পারছে না। নিকটস্থ চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনের পূর্ব-দক্ষিণ দিকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে জায়গা পেলে চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষ পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে ইজারা দিতে পারে। দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে রেল/পৌর কর্তৃপক্ষ ইজারা দিয়ে রাজস্ব আয়ের ব্যবস্থা করলেও চাঁদপুরে সেটি নেই। এমতাবস্থায় চাঁদপুরের সচেতন নাগরিকবৃন্দ রেল/পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে টয়লেট নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
শহরবাসীদের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, চাঁদপুরে রেলওয়ের অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত জায়গা শুধু অবৈধ দখলই হচ্ছে না, দখলদাররা সে জায়গা বিক্রিও করে দিচ্ছে। তাতে রেল কর্তৃপক্ষ বাধা দেয় না। যখনই পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ভালো কাজ, যেমন লেভেল ক্রসিংয়ে রাস্তা সম্প্রসারণসহ জরুরি প্রয়োজনে কোনো কাজ করতে যায় তখনই নানাভাবে বাধা দেয়া হয়, এমনকি মামলাও ঠুকে দেয়া হয়। এমন মানসিকতা থেকে রেল কর্তৃপক্ষ সরে আসলে চাঁদপুর শহরের শ্রীবৃদ্ধিতে পৌরসভা, জেলা প্রশাসনসহ আগ্রহী অনেকে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বিজ্ঞজন মনে করেন। তাদের মতে, রেল কর্তৃপক্ষ সদয় হয়ে বিশেষ করে উদারতা প্রদর্শন করলে শুধু চাঁদপুর কোর্ট স্টেশন নয়, বড় স্টেশন, ছায়াবাণী মোড় রেল ক্রসিং ও মিশন রোডের মাথায় অবস্থিত রেল ক্রসিংয়ে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা সম্ভব। এ টয়লেট নির্মাণে রেল কর্তৃপক্ষ উক্ত স্থানগুলোতে পৌরসভাকে পরিত্যক্ত/অব্যবহৃত জায়গা লীজ দিতে পারে। আর সেটিতে আইনগত বাধা থাকলে রেল কর্তৃপক্ষ নিজেই পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে ইজারা দিলে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করতে পারবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর শহরে পাবলিক টয়লেট খুবই কম। সেজন্যে এ শহরে আগত লোকজনকে বিভিন্ন মসজিদ ও মার্কেটের টয়লেটে গিয়ে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে হয়। এতে তাদের বহু বিড়ম্বনা ও কষ্টের শিকার হতে হয়। ফলে চাঁদপুর শহরের দুরবস্থা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে, যেটি পর্যটনবান্ধব নান্দনিক শহর গড়ার ক্ষেত্রে মেয়রের প্রতিশ্রুতির প্রতি এক রকম পরিহাস বলে মনে হচ্ছে।