প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
জলাবদ্ধতাপূর্ণ এলাকায় মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল
গত দুদিনে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের বেশ কিছু এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনবরত এমন ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানি আটকে যায়। এমতাবস্থায় ওইসব এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে যায়।
এদিকে গতকাল ছিল শুক্রবার। অফিস বন্ধের দিনও পৌরসভার লোকজনকে কাজে নামিয়ে দেন মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। জানা গেছে, পৌরসভার সংশ্লিষ্ট শাখার লোকজন যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সেসব এলাকায় সরজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখেন এবং যেখানে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করার মতো অবস্থা ছিল সেখানে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের সাথে কথা হলে তিনি এ তথ্য জানান।
এদিকে শহরের জলাবদ্ধতাপূর্ণ এলাকার অবস্থা দেখতে পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল কিছু এলাকায় যান। কী কারণে পানি আটকে গেলো তা তিনি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, বর্তমান সময়টা ভর বর্ষা মৌসুম চলছে। নদীতে ভরপুর পানি। নদীর পানি খালে এসে খালও পানিতে ভরপুর হয়ে গেছে। এ জন্য পাড়া মহল্লার বৃষ্টির পানি আটকে গেছে। ড্রেন দিয়ে পানি সরে কুলিয়ে উঠছে না। এর বাইরে অন্য সমস্যাও দেখা গেছে। তা হলো-কিছু কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষের অসচেতনতা এবং খামখেয়ালিপনা। ওই মানুষগুলো ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ফেলে ড্রেন ভরাট করে ফেলে। আবার যারা নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করছে, তারা সিটু পাইলিংয়ের বর্জ্যসহ অন্যান্য বর্জ্য ড্রেনে ফেলে ড্রেন ভরাট করে ফেলে। আর কিছু কিছু জায়গায় অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করাতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেন পরিষ্কার করার যে এক্সপার্ট লোক, তারা আমাদের এলাকার নয়। উত্তরবঙ্গ থেকে তাদেরকে আনতে হয়। বৃষ্টি কমলে সেখান থেকে লোক এনে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেন পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি পৌরবাসীকে নিজেদের ভালোর জন্যে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। দুর্ভোগের কারণ যেনো নিজেরা না হই সে দিকে দৃষ্টি রাখতে তিনি সম্মানিত নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান।