শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

আজ ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী

যার জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে কারাগারে

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥
আজ ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী

আজ ১ আগস্ট ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক কর্মধ্যক্ষ মরহুম এমএ ওয়াদুদ ১৯২৫-এর ১ আগস্ট চাঁদপুর জেলার বর্তমান সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নস্থ রাঢ়িরচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

এমএ ওয়াদুদ গণতান্ত্রিক যুবলীগ (১৯৪৮), পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (১৯৪৮) ও কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার (১৯৫৬) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। মরহুম এমএ ওয়াদুদ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (১৯৪৯), সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৪৯) ও দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৫৩)-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

এমএ ওয়াদুদ ১৯৫৩-৫৪ সালে প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দুবার নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১ বার প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি নিষ্ঠা ও সাফল্যের সাথে পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত¦ দেয়ার কারণে ১৯৪৮ সালে একবার এবং ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দ্বিতীয়বার কারাবরণ করেন। ১৯৫৪ সালে ৯২(ক) ধারা জারি করে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করার পর ছাত্র আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্যে পুনরায় এমএ ওয়াদুদকে কারারুদ্ধ করা হয়। ১৯৪৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে তৎকালীন শাসকদের রুদ্ররোষের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করতে তিনি বাধ্য হন। ১৯৪৯ সালে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে বঙ্গবন্ধুসহ এমএ ওয়াদুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হন।

১৯৭৮ সালে সামরিক সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে মন্ত্রীত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্যে তিনবার বিভিন্ন মেয়াদে এমএ ওয়াদুদ কারাবরণ করেন। সামরিক শাসনের সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হয়।

এমএ ওয়াদুদ ১৯৪৭-এর দেশবিভাগের পর থেকে ১৯৭১ পেরিয়ে ১৯৮৩-এর ২৮ আগস্ট মৃত্যুবরণের পূর্ব পর্যন্ত বাঙালির ভাষা, স্বাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সকল আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী আসনের পরপর চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী (২০০৯-২০১৩), সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, চিকিৎসক, আইনজীবী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপু মনি, এমপি তাঁর একমাত্র কন্যা এবং চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ডায়াবেটিক ফুট সার্জারীতে দেশের একমাত্র বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক ডাঃ জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ (টিপু) তাঁর একমাত্র পুত্র।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়