প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
শুরু হলো নাজাত অংশ
আজ থেকে শুরু হলো পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশক। এই শেষ ১০ দিন হচ্ছে নাজাত অংশ অর্থাৎ জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের অংশ। বান্দা রমজানের প্রথম দশক আল্লাহর রহমত লাভে ধন্য হয়ে দ্বিতীয় দশকে আল্লাহর মাগফিরাত লাভ করবে। বিগত দিনের পাপরাশির জন্যে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাইবে এবং খালেছ তাওবা করবে। নিজেকে আল্লাহর ক্ষমাশীল বান্দা হিসেবে তৈরি করবে। এরপর আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইবে। তখন দয়াময় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের অবশ্যই জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাত দেবেন।
প্রিয় পাঠক, মহান আল্লাহর বাণী এবং তাঁর প্রিয় হাবিব (দঃ)-এর বাণীর মধ্যে কী অসাধারণ সামঞ্জস্য রয়েছে। নবী পাক (দঃ) রমজানের শেষ ১০ দিনকে নাজাতের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাস্তবতার নিরিখে এর সাথে কী অপূর্ব মিল রয়েছে। রমজানের শেষ দশদিন নাজাত লাভের জন্যে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্যে কত উপলক্ষ করে দিয়েছেন। এই দশদিনের মধ্যে একটি রাতে পবিত্র কোরআন মাজীদ অবতীর্ণ হয়েছে। যা পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদরে। এই শবে ক্বদরকে আল্লাহ নিজেই হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলেছেন। অর্থাৎ এই একটি রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। এই সৌভাগ্যময় রজনী থেকে আমরা যেনো বঞ্চিত না হই সে জন্যে নবী রাহমাতুল্লিল আলামীন (দঃ) রমজানের শেষ দশদিন আমাদের জন্যে ইতিকাফের বিধান দিয়েছেন। দয়ার সাগর নবীজীর অভিপ্রায় হচ্ছে আমার উম্মত রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফে থাকলে শবে ক্বদর থেকে বঞ্চিত হবে না। আর শবে ক্বদর যদি আমরা গুনাহগার প্রেমিক উম্মতদের ভাগ্যে জুটে যায় আর সে রাতে যদি উম্মত ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকে তাহলে তো খোশ নসিব। নাজাত সে উম্মতের ভাগ্যে জুটে যাবে। তাছাড়া এই শেষ দশদিন রয়েছে জাকাত, ফিতরা আদায় ও ঈদুল ফিতরের রাত। তাই আমরা যেনো শেষ দশদিন পরিপূর্ণ সিয়াম পালন করে নাজাত লাভে ধন্য হই, সে তাওফিক যেনো আল্লাহ আমাদের দেন।