প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জে সর্প দংশনে তিন সন্তানের জননীর মৃত্যু
নিজ বসতঘরে বস্তা থেকে কিছু একটা বের করতে হাত দিলেই হাতের আঙ্গুলে ছোবল দেয় বিষধর সাপ। তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রেফার করেন জেলা সদর হাসপাতালে। তার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নূরুন্নাহার (৫২) নামের এই নারী। ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের ৫নং সদর ইউনিয়নের কৈয়ারপুল এলাকার তালুকদার বাড়িতে। তিনি এ বাড়ির মৃত আবুল বাসারের স্ত্রী। নিহত নারী তিন পুত্র সন্তানের জননী।
নুরুন্নাহারের ভাতিজা বউ পারভিন আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চাচির ডাকচিৎকারে আমরা বাড়ির সবাই দৌড়ে তার ঘরে যাই। এসে চাচির মুখে শুনে কিছুটা ধারণা করে উনার হাতে বাঁধ দেই। এরপরে সবাই ধরাধরি করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানের চিকিৎসক তার প্রেসার মেপে দেখেন অনেক হাই। তারপর আমরা একটি ট্যাবলেট খাওয়ানোর চেষ্টা করি, কিন্তু তিনি গিলতে পারেননি।
পারভিন আক্তার আরো জানান, হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে দেখে বলেছেন, এটা কোনো বিষধর সাপের কামড় হবে। আর তিনি ছোট স্ট্রোক করেছেন। তাই ডাক্তার তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে পথেই চাচি মারা যান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম মাওলা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ের ভ্যাকসিন রাখা হয় না। তাই আমরা রোগীকে চাঁদপুর আড়াইশ’ শষ্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করি।