প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
দাম কমেছে পেঁয়াজ শসা বেগুন টমেটো ও লেবুর
পহেলা রমজান থেকে রোজার কয়েকটা দিন চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে সবজি বিক্রি করেছেন। রোজা ঘিরে লেবু, বেগুন, শসা, মাছ মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চলেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ, লেবু, শসাসহ সবজির দাম। গত চার-পাঁচ দিন শসা, খিরাই, টমেটো, পেঁয়াজ ও লেবু চড়া দামে বিক্রি হলেও দুই দিন ধরে কয়েকটি কাঁচাপণ্যের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। কমেছে ডাটা, টমেটো, বেগুন, লাউ, কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচামরিচ এবং ধনিয়াপাতার দামও। তবে সিজন হওয়া সত্ত্বেও অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে আলুর।
শুক্রবার চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, দেশি রসুন ৯০-৯৫ টাকা, চায়না রসুন ১৮০-১৮৫ টাকা কেজি দরে। খুচরা বিক্রেতারা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
প্রকারভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা ও হাইব্রিড মোটা বেগুন ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে রমজানের প্রথম চার থেকে পাঁচ দিন বেগুনের খুচরা মূল্য ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
এছাড়া লেবুর হালি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। প্রতি পিচ ১০ টাকা। এর আগে লেবুর হালি ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। শসা খুচরা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। আবার ২০ টাকা কেজিতেও মিলছে টমেটো। এছাড়া ধনিয়াপাতা প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির দামও স্থিতিশীল আছে বলে জানান বিক্রেতারা।
খুচরা বিক্রেতাদের কেউ কেউ চড়া দামে পণ্য বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ ভোক্তাদের। একইসাথে বাজার মনিটরিং নিয়মিত করার দাবিও জানান সংশ্লিষ্টরা।
পুরাণবাজার মাছ বাজারের সবজি বিক্রেতা মনির জানান, রোজার শুরুতে তরিতরকারির দাম যা ছিলো এখন সেই দাম নেই। সবজির দাম কমে গেছে। আমরা কমে কিনতে পাচ্ছি, এজন্য কমে বিক্রি করছি।
পুরাণবাজার মসজিদপট্টি এলাকার মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্সের ভাগিনা জানান, পেঁয়াজের বেপারীরা শেষ। তাদের ৮০-৯০ টাকার পেঁয়াজ এখন ৪৫-৫০ টাকা কেজি ঘরের দাম এবং চায়না রসুন ১৮৫ টাকা, দেশী রসুন ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দাম অনেকটাই কমেছে।