পুরাণবাজারে ছেলে ও ছেলের বউয়ের অর্থ কেলেঙ্কারি এবং অত্যাচারের প্রতিবাদে মামলা করলেন মা

চাঁদপুরে নিজের গর্ভজাত ছেলে এবং ছেলের বউয়ের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের প্রতিবাদ ও বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন অসহায় মা। স্থানীয়ভাবে ছেলে ও ছেলের বউয়ের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনাতেও অসহায় মাকে দোষারোপ করা হচ্ছে।

১৮ মার্চ সোমবার চাঁদপুর সদরের আমলী আদালতে ছেলে নয়ন ও ছেলের বউ নাছিমার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন একজন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ভুক্তভোগী রাশেদা বেগম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই অসহায় মা রাশেদা বেগম (৬৭) হচ্ছেন চাঁদপুর পৌর ২নং ওয়ার্ডস্থ পুরাণবাজারের মধ্য শ্রীরামদীর টিজি রোডের ম্যানেজার বাড়ির মৃত মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নূর মোহাম্মদ বাচ্চুর স্ত্রী। তার ২ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম নয়ন (৪৭) হচ্ছে ২য় সন্তান এবং ছেলেদের মধ্যে বড়। আর নাছিমা বেগম (৩০) হচ্ছে নয়নের স্ত্রী।

ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধ মা রাশেদা বেগম বলেন, আমি একজন ক্যান্সারের রোগী। গত ৪ বছর পূর্বে আমার মুক্তিযোদ্ধা স্বামী মারা যান। পরে আমি আমার মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর ভাতার টাকা বছর দুয়েক পর লোন তুলে ছেলে-মেয়েদের মাঝে ভাগ-বন্টন করে দেই। আর নিজের চিকিৎসা খরচ বাবদ ওখান থেকে কিছু টাকা রাখি। এরপরও আমি আমার আদরের সন্তান নয়নকে যতোটুকু পেরেছি দিতে থাকি।

তিনি বলেন, নয়ন ও তার বউ নাছিমা বিভিন্ন লোক থেকে ধারদেনা করে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে। অথচ রটিয়েছে এই টাকাগুলো তারা নাকি আমাকে দিয়েছে। যা আদৌ সত্যি নয় এবং হয়রানিমূলক কথা। এখন নয়ন ও তার বউ পলাতক থেকে ধার-দেনা দিতে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছে। কিছুদিন আগে বাড়িতে লুকিয়ে এসে ওরা আমাকে টাকা দিতে বললে আমি অপারগতা জানালে আমাকে ইচ্ছেমতো শরীরের বিভিন্নস্থানে মারধর করে এবং মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে আমি স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎসা নিয়ে ন্যায় বিচার পেতে এবং শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে নিরূপায় হয়ে আদালতে মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নয়ন ও তার বউ নাছিমা বেগম গা ঢাকা দেয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বৃদ্ধ মা রাশেদা বেগমের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম রোমান বলেন, গর্ভধারিণী মায়ের সাথে তার ছেলে ও ছেলের বউ যে কাজ করে চলেছে, তার ন্যায়বিচার আদালতে পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করি।