প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
জালিয়াতি করে বোনের সম্পত্তি বিক্রি ॥ হামলা-ভাংচুর
আরেকজনকে বোন সাজিয়ে জালিয়াতি করে বোনের ক্রয়কৃত সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে দুই সহোদর। ভাইদের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে আদালতে মামলা দায়ের করেন বোন। একপর্যায়ে আদালত এক ভাইয়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করায় মামলার আসামী অপর ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে বোনের বাড়িতে হামলা করেছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা বোনের পরিবার থানায় জিডি করেছে। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামে গত মঙ্গলবার ঘটে।
জানা গেছে, সাহেবগঞ্জ গ্রামের সফিউল্ল্যাহর মেয়ে শেফালি বেগমের সন্তানরা প্রবাসে থাকে। তাই শেফালি বেগমের আর্থিকসহ সকল কিছুই দেখভাল করে সহোদর ভাই ইউসুফ হোসেন। কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বোন শেফালির ক্রয়কৃত সম্পত্তি অপর একজনকে বোন সাজিয়ে কৌশলে বিক্রি ফেলে দুই সহোদর ভাই ইউসুফ হোসেন ও মোঃ আলম।
বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতারণার শিকার হয়ে শেফালি বেগম ভাইদের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার মামলার প্রথম বিবাদীর ইউছুফ হোসেনের জামিন নামুঞ্জর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অপর সহোদর মোঃ আলম বোন শেফালি বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাংচুর করে।
ভুক্তভোগী শেফালি বেগম বলেন, আমার মায়ের পেটের ভাই যাদের আমি ছোটবেলা থেকে আদর স্নেহ করে আসছি। তারাই প্রতরাণার আশ্রয় নিয়ে আমার সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি আমি টের পেয়ে প্রথমে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পঞ্চায়েতের কাছে বিচার দিলে তারা অপারগতা স্বীকার করে। পরে আমি আদালতে প্রতারণার মামলা করি। আদালত মামলার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আমার প্রতারক এক ভাইকে কারাগারে পাঠায়। অভিযুক্ত আরেক ভাই ওইদিন আদালতে ছিলো না। সে আদালতে না গিয়ে আমার বসতবাড়িতে হামলা করেছে। নিরুপায় হয়ে আমি পুলিশকে খবর দিই। ভাইদের দ্বারা পুনরায় হামলার আতঙ্কে দিন কাটছে আমাদের। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করেছি।
এদিকে বোনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ভাই মোঃ আলমের বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঘটনাস্থলে সিসিটিভিতে ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে অভিযুক্ত আলম কর্তৃক ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শামছুল আলম ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আলমের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দেখে তখন আমাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার জন্য আমরা দিগি¦দিক ছুটাছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছি। আপন ভাই কর্তৃক বোনের বাড়িতে এমন হামলার ঘটনা সমাজের জন্য নিন্দাজনক কাজ।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক আমজাদ হোসেন বলেন, শেফালি বেগমের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। হামলার ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।