প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়ক
ছয়মাস না যেতেই সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে
নির্মাণের ছয় মাস না যেতেই সড়কের পিচ উঠে ক্রমশ ক্ষতচিহ্ন ফুটে উঠছে। এ চিত্র জনগুরুত্বপূর্ণ চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন অংশের। আবার অনেক স্থানে পিচ উঠে উঁচু হয়ে ফুলে উঠেছে। যার ফলে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহনগুলো। ইতোমধ্যেই কয়েক দফা এসব মেরামত করা হলেও ক’দিন পরেই পুরানো বা নতুন কোনো স্থানে সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে। এসব নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লোকজনকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে। যদিও চাঁদপুর সড়ক বিভাগ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গর্ত মেরামতের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কের ১৭ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ গত ৬ মাস পূর্বে সম্পন্ন করে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষের ক’মাসের মধ্যেই আস্তে আস্তে সড়কের বিভিন্ন অংশের কোথাও পিচ উঁচু হয়ে ফুলে উঠেছে, কোথাও পিচ সরে গেছে। গত ছয়মাসে এই সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। ইতোমধ্যেই উঁচু হয়ে যাওয়া অংশগুলো কর্তৃপক্ষ মেরামত করলেও কিছুদিন পর সেগুলোও আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, গর্ত এবং পিচ উঠে উঁচু হওয়ার কারণে অধিকাংশ যানবাহন পাশ কাটিয়ে চলে। তবে বড় যানাবহন ওই গর্তের ওপর দিয়ে চলার কারণে খুব দ্রুত পিচ উঠে মানচিত্রের মতো বড় হচ্ছে এবং সড়কের পুরানো পিচ ঢালাই দেখা যাচ্ছে।
সড়কটি ব্যবহারকারী সিএনজি অটোরিকশা চালক আনোয়ার, আবুল হোসেনসহ ক’জন বলেন, কাজের সময় দেখে আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ছয় মাস না যেতেই কী দেখছি! এখনই সড়ক নষ্ট হয় যাচ্ছে। আমাদের মতো ছোটযানগুলোকে মাঝে মধ্যেই বিপদে পড়তে হয় এ সবের কারণে।
স্বল্পদূরত্বের অটোবাইক চালক আলমগীর হোসেন বলেন, এটি একটি ব্যস্ত সড়ক। চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রামসহ বহু জেলার যাত্রীবাহী বাস এবং মালবাহী গাড়ি চলে এ সড়ক দিয়ে। বিশেষ করে এই সড়ক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ছোট গাড়ি চলে। সড়কের কাজ ভালো হয়নি।
চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ফাহাদ আলম বলেন, সড়কটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। সড়কটির কাজের সময় কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে নজরদারি না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ ছাড়া ভালো কাজ সম্ভব নয়।
ধানুয়া গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, সড়কটির দক্ষিণ ধানুয়া ঈদগাহ থেকে শুরু করে উপজেলার ভাঙ্গাপুল পর্যন্ত বেশি গর্ত হয়েছে। মেশিন দিয়ে সড়ক ঢালাই দিয়েছে। কাজ ভালো হলে কমপক্ষে ৩-৪ বছর রাস্তা ভালো থাকার কথা।
চাঁদপুর সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ওয়াছিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের পিচ উঠে যাওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত মেরামত করার জন্যে বলা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেডের সিকিউরিটি মানি ৩ বছরের জন্য জমা আছে। তারাই কাজটি মেরামত করবে।