প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
আজ বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস
আজ ১৭ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। দিবসটি ঘিরে সরকারিভাবে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সে আলোকে চাঁদপুরেও নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে।
প্রশাসনের বাইরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ, সদর ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং জেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফুর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। জন্মের পর তাঁর আকিকা অনুষ্ঠানে নানা শেখ আবদুল মজিদ নাতির নাম রাখেন শেখ মুজিবুর রহমান। নাম রাখার সময় নানা ওই বাড়ির অন্যদের বলেছিলেন, আমার দেয়া এ নামটি এক সময়ে বিশ্বে আলোচিত এবং খ্যাতি লাভ করবে।
বঙ্গবন্ধুর শৈশব কেটেছিলো টুঙ্গিপাড়ায়। শিশু বয়সে বাড়ির গৃহশিক্ষকদের কাছে তাঁর লেখাপড়া শুরু। এরপর পূর্বপুরুষদের গড়ে তোলা গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর স্কুলজীবন শুরু। পর্যায়ক্রমে গোপালগঞ্জের মিশনারী স্কুল ও মাদারীপুর স্কুলে লেখাপড়া করেন। বঙ্গবন্ধু খেলাধুলায়ও বেশ ভালো ছিলেন। ছাত্রজীবনে তাঁর ফুটবল খেলার প্রতি ছিলো যথেষ্ট আগ্রহ। ওই আগ্রহের সূত্র থেকে গোপালগঞ্জের ফুটবল টিমে তিনি অংশ নেন। গোপালগঞ্জের স্কুল থেকে মেট্রিক পাস শেষে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে তিনি ভর্তি হন। বেকার হোস্টেলে থাকার সুবাদে সে সময় বঙ্গবন্ধু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সংস্পর্শে আসেন। জড়িয়ে যান হলওয়ে মনুমেন্ট আন্দোলনে। শুরু হয় তাঁর সংগ্রামী ও রাজনৈতিক জীবন। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে যান বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা।
জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি : সকাল ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজে জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সাড়ে ৯টায় কলেজ মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হবে। সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রয়েছে কেক কাটা, দোয়া-মোনাজাত, আলোচনা সভা, শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ। সুবিধাজনক সময়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে হবে কেক কাটা ও মিষ্টান্ন বিতরণ। বাদ জোহর মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত, অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা করা হবে। চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, জেলা কারাগার, সরকারি শিশু পরিবার, সরকারি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুলে মিষ্টান্ন বিতরণ ও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়াও দিনব্যাপী লঞ্চঘাট, রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত তথ্য চিত্র/ ভিডিও ক্লিপস প্রচার করা হবে। দিনব্যাপী চাঁদপুরের সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহে ২০% ছাড়ে সেবা প্রদান করা হবে। চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। দিনব্যাপী চাঁদপুর সেতু ও মতলব সেতুতে টোল ফ্রি সুবিধা ভোগ করবে যানবাহনগুলো। এছাড়া চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রথম ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতককে বিশেষ শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হবে।