প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে চলছে অনেক অবৈধ ইটের ভাটা
ট্রাক্টর দিয়ে অবৈধভাবে পরিবহন করা হচ্ছে মালামাল
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটের ভাটা। এসব ভাটার মধ্যে কিছু ভাটার কাগজপত্র থাকলেও বেশির ভাগই অবৈধ। এদের নেই কোনো কাগজপত্র। অবৈধভাবে বছরের পর বছর প্রশাসনের নাকের ডগায় চলে আসলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি ভাটার মালিকরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বাৎসরিক এককালীন মোটা অংকের টাকা দিয়ে এসব ইটের ভাটা চালিয়ে আসছে বলে একটি সূত্র জানায়। যার ফলে সরকারি আইন অনুযায়ী এসব ইট ভাটার বিরুদ্ধে পুরোপুরিভাবে ব্যবস্থা না নিয়ে মাঝে মধ্যে শুধু জরিমানা আদায় করে থাকে। ইটের ভাটা চালানোর জন্যে যে সকল অনুমোদন ও কাগজপত্র থাকার নিয়ম তার সবকিছু এসব ইট ভাটার মালিকদের নেই। এমনকি ইটের ভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যেসব স্থানে চালানোর নিয়ম নেই, সে নিয়মের তোয়াক্কা না করে চলে আসছে। কাঠ পোড়ানোর নিয়ম না থাকলেও অনেক ইটের ভাটায় কাঠ পোড়ানো হয়ে থাকে।
মনে হচ্ছে প্রশাসন ইট ভাটার মালিকদের নিকট জিম্মি হয়ে রয়েছে। মাঝে মধ্যে ক’টি ইটের ভাটার বিরুদ্ধে নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকলেও বাকি অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ইটভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও পাকা সড়কের পাশে কোন খুঁটির জোরে চলে আসছে? এসব অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মনে হয় প্রশাসন ভুলে গেছে। না হয় এতো দিন এদের বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হতো।
একটি সূত্র জানায়, এসব ইট ভাটার মালিকরা প্রভাব বিস্তার করে অথবা অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ইট ভাটা চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইট ভাটা এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এসব ইট ভাটার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘনবসতি এলাকা ও পাকা সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে। এরা নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দ্বারা ইট, বালি, মাটি ও ভাটার মালামাল আনা-নেওয়া করে থাকে। এরা অবৈধভাবে ইট ভাটা পরিচালনা করে আসলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের সেদিকে কোনো নজর নেই। পকেট ভারী করায় ব্যস্ত তারা। অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।