প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুরের ৫টি আসনে ৪৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ঋণখেলাপি ও নানা অসঙ্গতির কারণে এসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। আলোচিতদের মধ্যে বাদ পড়েছেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিনিয়র সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে সর্বমোট ৪৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং বাকি ১১ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
গতকাল ৪ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান আসন ভিত্তিক প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন : আওয়ামী লীগের ড. সেলিম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির ডাঃ একেএম শহীদুল ইসলাম, জাসদের সাইফুল ইসলাম ও জাকের পার্টির মাসউদুল হাসান। এই আসনে বাতিলকৃত প্রার্থীরা হলেন : স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১% সমর্থনসূচক তালিকা যাচাই করে সঠিক না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম হোসেন, মোহাম্মদ রাহাদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ শওকত হোসেন মিয়া এবং প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী নির্বাচনী এলাকার ভোটার না হওয়ায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ জামাল হোসেন, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মোঃ সেলিম প্রধান।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন : আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাতীয় পার্টির এমরান হোসেন মিয়া, জাকের পার্টির ওবায়েদ মোল্লা, সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ মনির হোসেন, স্বতন্ত্র এম ইসফাক আহসান ও জাসদের মোহাম্মদ হাছান আলী শিকদার। ঋণ খেলাপির অভিযোগে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মোঃ শাহ আলম সরকারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনের বৈধ প্রার্থীরা হলেন : আওয়ামী লীগের ডাঃ দীপু মনি, স্বতন্ত্র ড. মোহাম্মদ সামছুল হক ভূঁইয়া ও মোঃ রেদওয়ান খান, জাতীয় পার্টির মোঃ মহসীন খান, জাকের পার্টির মোঃ কাওছার মোল্লা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবু জাফর মোঃ মাঈন উদ্দিন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মোঃ মিজানুর রহমান।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন : আওয়ামী লীগের মুহম্মদ শফিকুর রহমান, জাকের পার্টির মোঃ নুরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র জালাল আহমেদ, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ও ড. মোহাম্মদ সামছুল হক ভূঁইয়া, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল গণি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির মোঃ আব্দুল কাদের ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)-এর ড. মোহাম্মদ শাহজাহান। ঋণ খেলাপির কারণে এই আসনে বাতিল প্রার্থীরা হলেন : জাতীয় পার্টির সাজ্জাদ রশিদ ও তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ সেলিম।
চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন : আওয়ামী লীগের মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, স্বতন্ত্র গাজী মাইনুদ্দিন ও মোঃ শফিকুল আলম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিএনএফ)-এর বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী ও জাকের পার্টির মোহাম্মদ মকবুল আহমেদ। বাতিল প্রার্থীরা হলেন : স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১% ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকা সঠিক না পাওয়ায় মোঃ জাকির হোসেন প্রধানিয়া, মনোনয়নপত্র অসম্পূর্ণ হওয়ায় জাসদের মোঃ মনির হোসেন মজুমদার ও হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন রাখায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আখতার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।