সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

বাবার মতো দেশ ও দশের জন্যে জীবন উৎসর্গ করতে চাই
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাবা বেঁচে আছেন, এটাই আমার বেঁচে থাকার সার্থকতা। আমার বাবা ভারতে ট্রেনিং শেষে দেশে এসে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে পাকবাহিনীর সাথে লড়েছেন সরাসরি যুদ্ধে। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের আয়োজনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’ শিরোনামে আজকের পর্বে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হাজীগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম ও সংক্ষপ্তি পরচিয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?

মোহাম্মদ সাইফুল আলম : আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামসুল আলম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ডিজিটাল সনদপত্র ও এমআইএস নং-০১১৩০০০৪০৫৯, ভারতীয় তালকিা নং-৩৪৬৩১, লাল মুক্তি বার্তা নং-০২০২৫০৬০০৭২, বেসামরিক গেজেট নং-২৮০৯, প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত সনদপত্র নং-৪৫০৮০, সাময়িক সনদপত্র নং-৬৩০১৩, পেশা-অবসর। ১৯৭১ সালে আমার বাবা এইচএসসি ১ম বর্ষে রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে তখন তিনি ভারতের ত্রিপুরার বংশনগর, পরে মেলাঘর যান। মেলাঘর থেকে অম্পিনগরে ট্রেনিং করে বাংলাদেশীদের এফএফ বাহিনীর ১ম ব্যাচে ট্রেনিং করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদারের নেতৃত্বে নাসিরকোট যান। পরে নাসিরকোট থেকে বিভিন্ন জায়গায় গ্রুপ করে যান। ১৯৭১ সালের ২৩/১০/১৯৭১ খ্রিঃ তারিখে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন অন্যতম বৃহত্তম যুদ্ধক্ষেত্র লাউকরা গ্রামের মজুমদার বাড়িতে আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামসুল আলম ও বাবার সহযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ ঘন্টা সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত সম্মুখ যুদ্ধে আমার বাবার সাথে সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির শহিদ হয়েছেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?

মোহাম্মদ সাইফুল আলম পলাশ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেেেব আমি গর্বিত। আমার বাবা সম্মুখযুদ্ধের একজন যোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বাবার মত আমি দেশ ও দশের জন্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চাই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

মোহাম্মদ সাইফুল আলম পলাশ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মরে কাছে তুলে ধরার জন্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারি।

মোহাম্মদ সাইফুল আলম (পলাশ) হচ্ছেন হাজীগঞ্জ বাজারের একজন ব্যবসায়ী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়